বিষর্ণতার কালো হাত আমাকে ছুঁতে চায়-
তমাশাচ্ছন্ন অন্ধকারে,
চারদিকে সুন-শান নিরবতা;
আমি রেখে যাই নির্জনতার স্বাক্ষর!
আর কোনো সম্পর্কের পিছু টান নেই,
যা ছিল কেবলি মিথ্যে'ই
গড়া আকাশ ছোঁয়া প্রাসাদ।
রক্তের বন্ধন হয়েছে খুণ,
প্রিয়ার সম্পর্কচ্ছেদ-
আমার শরীরে জড়ানো বিধবার সাদা শাঁড়ী,
বুক জুড়ে হিমালয়ের বরফ বাঁধা কষ্ট।
হঠাৎ চোখের পলকে নেমে আসে সূর্যের অন্তিম প্রস্থান-
চারদিকে বিদঘুটে অন্ধকার,
আমার কাছে আসে খুণ হওয়া একেক টা আত্মা-
তারা আমায় দেখে হাসে, মৃত্যুর প্রহসিত অট্টহাসি।
আমার ভিতরে জ্বলে আগুন,
চোখে মুখে বেদনার নীলাক্ত প্রতিচ্ছবি!
অবশেষে দুঃখ ভোলাতে
গ্লাশ ভর্তি ছাঁইপাস,
মৃত্যুর ঘুম চোখে-
বিছানায় ঢলে পড়ে নিথর শরীর।
মনে হয় মরে গেছি,
মৃত্যু পোঁড়াতে শ্মশানে চিতা জ্বলে-
হঠাৎ চোখ মেলে দেখি মরি নাই,
মৃত্যু টা কেবলি স্বপ্ন ছিল।