কাল বৈশাখ হাওয়াই ঝটিকা।
যেন দমকা হাওয়ার তীর,
হইয়া উঠেছে অন্ধ বধির
দুর্বোধ্য যাহারে করায়ে বিলীন।
দমকা হাওয়া! উড়ম্বর দমকা হাওয়া!
দেয় কেবলই আচমকা ধাওয়া;
বৈশাখের রাত্রি যেন এক অনন্য পাওয়া।
ওহে কালো ঘন শুণ্য;
দর্শন যেন হয় তব মেঘলা শশীর,
যেথায় রহিয়াছে মোর শৈশবের শিশির;
তথায় দমকা হাওয়া যাহার প্রধান বশির!
দমকা হাওয়া! উড়ম্বর দমকা হাওয়া!
উড়ায়ে যে নিলো এ-সকল ব্যাধির ধাওয়া।
বৈশাখের সেই দমকা হাওয়া,
এ যেন স্মৃতির ঝটিকা;
অসম্বদ্ধ যাহার মূর্তী, প্রাণবন্ত যাহার স্ফূর্তি;
প্রণয় বিলাই যাহার প্রধান কীর্তি।
দমকা হাওয়া! উড়ম্বর দমকা হাওয়া!
উড়ায়ে যে চললো দুঃখের ধাওয়া।