এ পথ দিয়ে একটু আগেই সে গিয়েছে
আমি তাকে দেখিনি, তার শরীরের গন্ধ পাচ্ছি।
বসন্তের উদাসী হাওয়া তার খোলা চুলে দোলা দিয়েছে
আমি তা দেখিনি, তার চুলের সুবাস পাচ্ছি।
তার ঠোঁটে ছিল সেই মাদকীয় হাসি
যা দেখে কৃষ্ণচূড়ার ডাল ফুলে ফুলে হয়েছে রঙিন।
একটু আগেই এই পথ দিয়ে সে গিয়েছে
আমি তার পদচিহ্ন পাইনি, পেয়েছি নূপুরের রূন্ ঝূন্ শব্দ।
একটু আগেই হয়তো সে আনমনে গান গেয়েছে
আমি তার গান শুনিনি, তবে বাতাসে ভেসে আসা গুন গুন শব্দ শুনেছি।
একটু আগে তার চোখ দুটো আমাকে খুঁজছে
আমি তার চোখের ব্যকুলতা দেখিনি, তবে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া দীর্ঘশ্বাস শুনেছি।
একটু আগে হয়তো সে আমার নাম ধরে ডেকেছে
আমি তার কন্ঠস্বর শুনিনি, তবু বাতাসে তার প্রতিধ্বনি পেয়েছি।
প্রতিদিনের মতন আজও সে এসেছিল
আমার অসমাপ্ত ভালোবাসাকে পূর্ণ করে দিতে
কিন্তু আজ তার আর আমার মাঝে একটা সচ্ছ দেয়াল,
চাইলেও আজ তার ভালোবাসা দিয়ে আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
হয়তো আমার অসমাপ্ত ভালোবাসা আজ তাকেও কাঁদায়
আমি সেই চোখের পানি দেখতে পাই না, কিন্তু বৃষ্টিকে ছুঁয়ে তা অনুভব করি।
কারণ আজ সে সকল পূর্ণতা নিয়ে ঐ মেঘের মাঝে হারিয়ে গেছে,
আর আমাকে দিয়ে গেছে এক বুক অসমাপ্ত ভালোবাসা।
রচনাকাল : ১৮/০২/২০০৬ ইং
সময়: ১১:৫৮ (রাত)