চলেছি ভ্রান্ত বাটে,
থামছি ঘাটে ঘাটে,
আপন আলয় বেড়ায় খুঁজিয়া।
দিগন্তের দিকে চেয়ে,
নিশানা না পেয়ে
ভাবছি বসে চক্ষু বুজিয়া।
মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে,
ফিরে এসেছি নীড়ে,
ভালবাসিবার কেহ নাই আর।
করেছে অবিশ্বাস,
কাঁধে ঘৃণার নিশ্বাস,
আপন মানুষ করে তিরস্কার।
কষ্টেরা হয়েছে আপন,
নির্বোধ জীবন যাপন,
আপন ভুলেই সব হারিয়েছি।
হয়ে গেছি একা,
চাইনা কারও দেখা,
একাকীত্ব কেই ভালবেসেছি।
শুধু খাওয়ার জন্য,
বাঁচিবার জন্য হন্য,
নিরর্থক জীবন কে বুঝবে।
খাদ্য ধ্বংসের চেয়ে,
চির শয়নে যেয়ে-
খাদ্য সংকট কিছুটা ঘুচবে।
প্রিয় দের মনের কোনে,
বাস করে অন্য জনে,
করে চলেছে সদা ধোঁকা।
মন থেকে তাড়িয়ে,
কথার ছলে জড়িয়ে,
আপন ভাবিয়ে বানাচ্ছে বোকা।
রাখিয়া দুরে দূরে,
কথা বলে অন্য সুরে,
বুঝিতে যেয়ে ভুল বুঝিয়া।
ডাকিত সকল কাজে,
এখন কেউ না খোঁজে,
আপন দর গিয়াছে কমিয়া।
এখন নেইকো কেউ,
আছে কষ্টের ঢেউ,
যাতনাকে করেছি আলিঙ্গন।
জানি এ যাতনা তবু,
মিটবে না কভু,
জীবনাবসান এ হবে অবসান।
এহেন ভবের পরে,
বিস্বাদের সুর ধরে
বেঁচে থাকা নহে দরকার।
তবুও দায়িত্বের টানে,
তাকিয়ে আপনের পানে,
যেতে নাহি চাহে মন আর।