সাত সাতটি বছর পার হয়ে যায়,
অপেক্ষার ক্লান্তিতে বসে নিরালায়
একলা বসে আমি শ্রান্তিতে নিরাশায়
মনের অন্তরালে খুঁজছি তোমায়।
তুমি ছিলে সেই একমনা
যার আভাস যেন হাসনাহেনা,
স্বর্ণলতার মতো বেণী হীন চুল
রেখেছিল বেঁধে আমার দুকূল!
তার চোখের পাতায় পাতায় ভাসে
গোলাপের পাপড়ি ;
সেই পাতার পলকে পলকে ভুলি
দিবসো-রাত্রি।
দুটি নয়ন তার আকাশের মিটিমিটি
তারা;
যেন ভাবের আভাস ছুঁয়ে দেয় সাড়া।
আঁখি জুড়ে নির্মলতা পাই খুঁজে
চোখের চাহনীতে গহীন বিলে যাই
ডুবে।
নাকের ডগায় তার গেঁথে রয়
শিউলিফুল;
আর বেণীকরা চুলে ঝুলছে
বকুল,
গাল দুটি যেন তার চিনিতে ভাসা
পান্তুয়া;
সাদা দুধেতে মাখা যেন মমতার
মায়া ,
তার কোমল ঠোঁটেতেও স্নিগ্ধ
মায়া;
যেন কচিপাতায় লাগল শিশিরের
ছোঁয়া।
তার লাবণ্যে প্রাণময় আমি হই
ব্যকুল
বাতাসে ভেসে বেড়াই যেন এক
কাশফুল,
আরেকটি বার তাকে দেখতে চাই
হারাতে চাই আমি হারাতে চাই
স্মৃতিতে তার মিষ্টি হাসি,আমি
আজও খুঁজি,
না বলা কথার আশায়
শুধু তার জন্য বাঁচি।