রাতে চাঁদের আলোয়  ঝলমল পুকুর পাণ
তারার মায়া,জ্যোৎস্নার ছায়ায় শুনি ঝিঝির গান।
নীল পদ্মে ভরা বিল আর বয়ে চলে ঠান্ডা বাতাস
বাবুইয়ের বাসায় ছড়িয়ে হাসনাহেনার সুবাস।

ভোর হতে না হতে
দোয়েলের গান
কোকিলের ডাক;
কখনো বা ঘুম ভাঙে
মোরগের হাকডাক।
পেতে মন আকুল
ঝরে পড়া শিউলিফুল,আর
ভোরের ঠান্ডা হাওয়া
যেন একইসাথে আমার
হিয়াকোণে দিল ছোঁয়া।

সূর্য লাল,হয় সকাল
ঘাসের উপর শিশিরের
চিকচিক দোলা,
পাতার ফাঁকে ফাঁকে
চলে রৌদ্রের খেলা!

সকাল কেটে দুপুর
ফুটে রজনীগন্ধা, বকুল,
কৃষ্ণচূড়া মধুর।
আরও ফুটে গোলাপ
বরইগাছের নিচে মেতে
সখীগণের আলাপ।
বিকালের নির্জন আভাসে
বাতাসে উড়ে কাঁশফুল,
সন্ধ্যায় নদী পাড়ি দিতে
মাঝি ভাই খুব ব্যাকুল।

এ প্রকৃতির পাণে তাকিয়ে এক অসহায় ছেলে,
যে বন্দি আজ- শহরের কর্মজালে।
প্রকৃতির খেলায় মেতে থাকে ধরণীর দুকূল
এ সব খেলা দেখতে ছেলেটির প্রাণ আকুল।