তুলিয়া হে প্রাণ! ধর ধ্বজা ফির
সুরুজ ঝুলিয়া
গগন কাঁপিয়া
আসিছে এক নতুন বীর।

অচঞ্চল যেন সকলি অধৈর্য্য;
আজি সে আসিবে
উল্লাস করিবে
আলোকিত ফিলিপের রাজ্য।

কৈশোরে সাজিয়া ঘোড়ার সৈনিক
কভু তীরন্দাজী,
কভু জীবনবাজি,
জ্ঞানীর শিষ্য হইয়া নির্ভীক;

ছায়া নামিল হঠাৎ ফিলিপের প্রাণে
বাপকা বেটা
সিপাহিকা ঘোড়া
বসিবে পিতার সিংহাসনে;

চায় না পুত্র ক্ষুদ্র এই মেসিডন,
পিতার উর্ধ্বে
পুত্র উড়াইবে
বহুদূর বিজয় কেতন।

বহুদেশ,বহুপথ করিল ছিন্ন
পরাজিত কত তাজ
বড় বড় মহারাজ
হোক না তা দারিয়ুসের দশলাখ সৈন্য!

ব্যাবিলন আর মিসর পারস্য
আধিপত্য
এইবার যাত্রায়
জিনিবে পুরো বিশ্ব;

কতশত নব নগর গড়িয়া
বিধ্বংসীর বেশে
আঁকিয়া দিল সে
মিশরের বুকে আলেকজান্দ্রিয়া;

একদিকে মায়া মহানুভবতা
করুণার জল
সঁপেছে অতল
অন্যদিকে নির্মম ভয়াবহতা;

বিশাল বাহিনী ছুটিতেছে দুর্জয়
অসীমের তরে সংগ্রাম
জিনিবে গ্রামের পর গ্রাম
করিবে সে বিশ্বজয়;

বিজয়ের নেশায় রাঙিয়ে দৃষ্টি
অগ্নিআঁখিতে পোড়াইলে
আর তলোয়ারের আঘাতে
করিলে ধ্বংস স্রষ্টার সৃষ্টি;

ঝড়িয়েছিলে সৃষ্টির চোখে অশ্রুপাত
কেন হইয়াছিলে উন্মত্ত?
আর কত চাও শক্তি বিত্ত?
তাই বুঝি লাগিল অভিসম্পাত।

নিমিষেই শেষ যতছিল অহংকার
যতছিল দুনিয়ার নেশা,
সব ছাড়ি বীর আজি,
শূণ্যহাতে  চলিলে পরপার।