সারাদিন কতনা কর্মে রত
আমি পারিব না আর পারিব না
ক্লান্তির শ্রান্তিতে দেহখানা নত
জাগিতে আর পারিব না।
জানালার ধারে বিছানাতে
শুইয়া পড়িলাম
নিদ্রা ফেলিল ছায়া;
মম নিষ্প্রাণ আঁখিতে
আঁখি বন্ধ করিলাম
জানালা হইতে আসিছে হাওয়া
আর আমি তন্দ্রায় ডুবিলাম।
এমন সময় কর্ণে আসিল-
মধুর সুর; যেন কেহ ডাকিল
কে যেন শুধায়,
উঠো হে উঠো; দেখি বে না আমায়?
আঁখি মেলিয়া তাকাইয়া হেথায়
হেরিলাম আমি,
অচেনা এক রমনী অবিরাম
ডাকিতেছে আর আমি শুধাইলাম,
কে হে তুমি?
বলিল না কথা, আমি নির্বাক তথা
কেবল তাকাইয়া তাহার পাণে
তথাপি সে মম নীলাভ নয়নে;
হেরিছে অপলক,আমায় এক ঝলক
যেন কভু দেখেনি কোনো ক্ষণে
নির্মল এই সৃষ্টির পাণে
কোনো মানব, ভূলোক!
আমিও তাকাইয়া অবাক দৃষ্টিতে
বহুদিন ঘুরিয়া কতনা পথে ঘাটে
কতনা রমনী হেরিলাম বটে,
এমন রূপবতী তাহার মত
দেখিবার সৌভাগ্য হয়ত
জীবনে একবারই ফোটে!