কবিতা তুমি গাও
         স্বাধীনতার গান;
যোদ্ধাদের যে গানে
         ভরে উঠে প্রাণ।
যুদ্ধে ছিলে
       সজাগ তুমি;
স্বাধীন হয়
       এ মাতৃভূমি।


নির্মল মুখে সকলের
        খুশিতে ফোটে হাসি,
তুমি তখন ছড়িয়ে দাও
        ভালোবাসা-বাসি।
সূর্য হাসে যখন
        নিভিয়ে মৃদু বাতাস,
কবিতা তুমি তখন
        ফুটিয়ে তোলো চারিপাশ।


যখন নদী ছুটে যায়
           আপন মনে,
সুখপাখি গেয়ে যায়
        প্রতি ক্ষণে ক্ষণে,
যখন আশপাশ ভাসে
          ফুলের সুবাসে,
কাশফুলের মতো মেঘ
       উড়ে চলে বাতাসে,
যখন মৌমাছির দল
          ছুটে রাশি রাশি,
প্রকৃতিতেও বেজে উঠে
          মধুর বীণ-বাঁশি,
তখন কবিতা তুমি
         রাঙিয়ে দেও হাসি।


যখন হরিণের নীল চোখে
           ভেসে উঠে মায়া,
সারাবনে ছড়িয়ে পড়ে
             লাবণ্যের ছায়া,
যখন ঝিরিঝিরি শব্দে
            ছন্দে নাচে বৃষ্টি,
ভরে যায় সব ডোবা
           কী অপরূপ সৃষ্টি!
যখন মা শোনায়
       ছেলেকে ছড়া-গান,
তখন কবিতা তুমি
ভরিয়ে তোলো
           মানুষের প্রাণ।


কিন্তু লুকিয়ে কোথায় ছিলে
সেদিন কবিতা তুমি?
যেদিন  ধরণী  যায়  চলে
ধ্বংসের  পথগামী

স্বার্থপররা করে
প্রকৃতি  বরবাদ
তুমি কেন সেদিন
করোনি প্রতিবাদ?


দূষণে ঢেকে যায়
শহর থেকে গ্রাম
তখন কবিতা তুমি
করোনি সংগ্রাম;
যখন মানুষ হয়ে পড়ে
স্বার্থের অনুগামী
তখন কেথায় ছিলে
কবিতা তুমি?

আছে সময় এখনো
হে কবিতা তুমি!
মানুষদের করো
সত্যের পথগামী,
জাগিয়ে তোলো
তাদের চেতনা ও বোধ
যেন করে তারা
অন্যায়কে প্রতিরোধ।