এক অলস বিকেলে ধ্যান করে বসে ছিলাম পদ্মা পাড়ে টঙের দোকানে। চা নিয়েছিলাম তা জুড়িয়ে হয়েছে গোধূলির ছায়া পরা পদ্মার জলের মতো নিটোল। পাতলা কাগজের কফিনে মোড়ানো তামাক পাতার কাঠি জ্বেলে ছিলাম তা আর টানা হয়নি পোড়ে গেছে ফিল্টার পর্যন্ত।
-তা অবশ্য বেশ উপকার হয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য। যাক তবুও খারাপ না...
দু-চার লাইনের একটা কবিতা লিখবো বলে এই যে বসে আছি মাথায় কিছুই আসছে না ভাবছি কি নিয়ে কি লিখব!
- হঠাৎ তুমি এলে এক পাতলা বাহাড়ি রঙের ডোরাকাটা বাদামী আঁচলের শাড়ি পরে ভাঁজে ভাঁজে সাজানো যেনো মসৃণ সুতোয় সু-নিপূণ দক্ষ কারিগরের হাতে বোনা মৈতালী আলুকলতা ঘিরে রেখেছে তোমার অপূর্ব রহস্যের রূপ।সে যে হাঁটছে পদ্মায় জেগে উঠা বালুচরে শাড়ীর কুচি ধরে।
যা দেখে হতভম্ব আমি। কি তার অবাক চাহনি কাজলের কালিতে আঁকা কোমল হরিণীর চোখ। সৌন্দর্যের ঘাটতি নেই তোমার মাঝে।
- কে তুমি অপরূপা অনিন্দ্য সুন্দরী যে হঠাৎ এলে গতিশীল ধুমকেতুর মত বহু বছর পরে!
আমার নিষ্পাপ দু নয়নযোগল চশমার গ্লাসে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তবুও ঝাপসা হয়ে আসে তোমার ঝলকানি রূপের ডুবন্ত সূর্যের আভাসে।
- মনে হয়...
আমি নির্লজ্জ বেহায়া এভাবে তাকায় কেনো যদি সে বলে আমায় দেখে আড় চোখে! সে যদি জানতো আমার পছন্দ এক পলকে;
যেমন আটকে যায় বৈশ্যলের টুপ আহার ভেবে অনাহারী দল হারা ইলিশ।
-এ বিকেল শেষ হয় কেনো আমি যেন চেয়ে থাকি গোধূলির শেষ লগ্নে ডুবন্ত সূর্যের দিকে।অনিয়ম করে থেকে গেলেও তো পারতো আজীবন ধরে !
-পলক পরে না যেনো আমি উদাস বিকেলে স্নিগ্ধ হাওয়াই কার্তিক মাসের শেষ সন্ধ্যায় চেয়ে থাকি তোমার দিকে ধূসর কুয়াশা মনে হয় তুমি শত-কোটি আলোকবর্ষ দূরে!
আহ্...!
-এ আমার অলস বিকেল ফোরালেই চলে যেও না রেখে দিতে চাই থেকে যাও না অদৃশ্য প্রেমিক হয়ে আগলে রাখি তোমার প্রেমের মোহমায়া ও বিশুদ্ধতা
কারণ, আমি যে কবি বার-বার প্রেমিক হওয়া শোভা পায় না!
২৭.০১.২০২৫
ফুলতলা,রাজশাহী