রৌদ্রত্রপা, চলো, চড়ে বসি দুজন সবুজ দ্বীপের
জাহাজে। বসন্ত এসে গেছে। এখানে নেই কোনও
আয়োজন প্রেমের। তারচে' চলো, সবুজ দ্বীপে যাই।
সেখানে আনন্দ উল্লাস, হাসি গান মানুষের, কখনও
হয় না শেষ। সেখানে ভালবাসা ভালো, মহিমান্বিত।
এখানকার মতো এমন লজ্জিত বা কুণ্ঠিত নয় কিছুতেই।
দেখছো না,আড়চোখে তাকানো সহস্র তীক্ষ্ণ,হিংসুটে
চোখ আমাদের ঘিরে আছে চারপাশে। কোথাও নেই
এক রত্তি নির্জনতাও প্রেমী যুগলের! এসো,সব ফেলে
দুজন পাড়ি দেই,সেই শান্তির সবুজ দ্বীপে। পরে থাক
এইসব নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে ঘর, গেরস্থালী, কবন্ধ
অলি গলি, ঘুপচির সন্তপ্ত মলিন আঁধার।
উহু,তবু কী এতো ভাবছো তুমি,অকারণে বারবার!
ঘরের কথা মনে পড়ছে? আপনজনদের? তোমার
ব্যথাতুর মুখ! অশ্রুসিক্ত চোখ! তুমি কাঁদছো রৌদ্রত্রপা!
কিন্তু এখানে যে বসন্ত এসেছে আবার। এই বসন্তও
তুমি চলে যেতে দিয়ো না হেলায়! কে জানে,আবার
ফিরে পাই কিনা আর, পাশাপাশি দুজনাতে! কতো
বসন্তই তো এসে চলে গেছে! তুমি কখনও বোঝনি,
কতোটা গভীর ছিলো তার ক্ষত , প্রেমিকের বুকে।
চলো,এবার দুজন চড়ে বসি সবুজ দ্বীপের জাহাজে।
পৃথিবীর সব সুখ আছে সেই দ্বীপে। সেখানে আনন্দ
উল্লাস, হাসি গান মানুষের, কখনও হয় না শেষ।
না, আর একবারও পিছু ফিরে তাকিয়ো না রৌদ্রত্রপা!
অতো সাত পাঁচ ভেবো নাতো মিছিমিছি! কিছু পেতে
হলে,কিছু হারাতেই হয়, এ যে শাশ্বত রীতি জীবনের!
শুধু জেনে রাখো, বারবার ফিরে আসবে না, এই দিন
বসন্তের,দুজনের। আসে না! কতো নষ্ট বসন্ত পেরিয়ে
এসেছি আমরা! আজও তার গভীর ক্ষত রয়ে গেছে
বুকে! চলো, এবার চড়েই বসি দুজন, সবুজ দ্বীপের
সেই পাল তোলা সুরম্য জাহাজে। চলো,সবুজ দ্বীপে
যাই। যেখানে আনন্দ উল্লাস, হাসি গান মানুষের,
কখনও হয় না শেষ।