সহজ সূত্রে জীবনটা গাঁথা ছিল আমার।
ভেজাল ছিল না! মৃত্তিকা প্রমুখ সামনে রেখেই;
সবুজ পাতার মতোই বেড়ে উঠছিল জীবন।
"একটুকরো শ্বাসে যেন অনেক কিছু পাওয়া।
এখন অনেক কিছু পেয়েও ;অচেনা হাওয়ায় হৃদয় জুড়াতে না পারা।
‘ঊনষাট’বছর!!
‘ঊনষাট বছর পার হয়ে গেল! মায়ের কাছে  এখনো সেই খোকা!  খোকা বলেই ডাকে মা।
শুনছো খোকা!
"সোনালি দিনের কথা গুলো আজ ভীষন ভাবে কাতর করে।
‘বাইশ বছর বয়সে যখন’  ‘এক রমণীর বুকে ভরপুর হাবুডুবু খাচ্ছিলাম ;
তখন অচেনা ভয় নাছোড়বান্দার মতো মনের দরজার সামনে কড়ানেরে এসে বলল,
তোমার কিন্তু এখনো বিয়ের বয়স নয়।
মেনে নিতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। সমুদ্রঝড়ের টলমল পানির মতোই কেঁপে উঠেছিল হৃদয়।
যৌবনের সেই সামান্য জেদ আজ ঊনষাট বছরে এসে দাড়িয়েছে।"একাকীত্বতা আমায় এখন বর  মাল্য’র  মতোই ঘিড়ে জড়িয়ে আছে।
'হয়তো একাকীত্বতাই এখন আমার পথসঙ্গী।
মলিন দুর্বদ্ধ অধম হৃদয়ে কত বিবাদ, বেদনা, যন্ত্রণা, আর্তনাদ করে করে বলছে যুদ্ধ করো যুদ্ধ করো যুদ্ধ কর,আর তো গোটাকয়েক দিন! ষাট বছর পূর্ণ হতে।
মৃত্তিকা প্রমুখ সামনে।।

১৮.০৩.২২
বাংলা বিভাগ