আমি এখন বেশ ভালো আছি,
তোমাকে নিয়ে এখন আর একটুও ভাবিনা,
তোমাকে ভেবে গান গাইনা,
তোমাকে ভেবে কবিতাও লিখিনা,
সঠিক সময়ে খাই, সঠিক সময়ে ঘুমাই
সবই করতে হচ্ছে শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে,
মৃত্যু যেন আমার কাছে এখন পাপের চেয়েও বেশি কিছু,
এখন আর কাউকে জোর করিনা যে
আমাকে ভালোবাসতেই হবে,
আমার সাথে কথা বলতেই হবে,
আমাকে অনেক সময় দিতে হবে,
আমার সাথে ঘুরতে হবে,
তবে এখন ও আমি ভালোবাসি,
তবে ভালোবাসায় যে একটা পাগলামি ছিল,
সেটা এখন আর নেই,
খুব খুশিতেও খুশি হতে পারি না,
খুব হাসিতে হাসতে আমি পারিনা,
জানো এখন আর তোমাকে মনে করতে ইচ্ছে করে না।।
কপালের লাল টিপটা খুব পছন্দের ছিল,
আর ঐ নীল শাড়িটাও,
এখনও নীল শাড়ি আর লাল টিপের কাউকে দেখলে,
তোমায় ভীষণ মনে করতে ইচ্ছে করে।
আমাদের বাড়ির পোষা পায়রা দুটো,
পাশাপাশি বসে যখন গাছের ডালে,
দুজন দুজনকে ডাকে প্রেমের সুরে,
তখন তোমায় ভীষন মনে পড়ে।।
হাতে হাত রেখে পায়ে পা মিলিয়ে,
যখন হাটতে দেখি রেল লাইনে,
তখন তোমায় ভীষন মনে পড়ে।
পড়ন্ত বিকেলে এখনও যখন গোধূলি ভাসে চোখে,
তখন তোমায় ভীষন মনে পড়ে।
পূর্নিমা চাঁদের ভরা যৌবনে
তোমায় ভীষন মনে পড়ে।।
একই ছাতার নিচে হাটঁতে,
ছাতা ফেলে বৃষ্টিতে ভিজতে
চায়ের কাপে চুমুক দিতে,
ভেজা চুলে চিরুনি দিতে
তোমায় ভীষন মনে পড়ে।।
জানো স্কুলের পিছনের ঐ বকুল তলাটায়,
যেখানে তুমি আমি বসতাম রোজ বিকালটায়,
দুটাকার বাদামে চলে যেত সময়টা
সময় পেলে এখনও যখন দাড়াই একেলা,
দেখি কিছু প্রেমিক যুগলে বসে আছে আপন হয়ে,
বকুলের সুবাসের মাঝেও তখন
এ চোখ সেথায় তোমায় শুধু খোঁজে,
আর এ মন তোমায় ভীষন মনে করে।।
পাশের ঐ ছোট্ট নদীটা এখনও বয়ে চলছে,
ডিঙিগুলো এখনও পাল তুলছে,
দক্ষিণের সেই বিলটায়
যেখানে দুজনে পদ্ম তুলতাম ছোট্ট নৌকায়,
এখন সেখানে পদ্ম ফোটে অন্য কারো আশায়,
এখনও সবই আছে শুধু তুমি নেই আমার পাশে,
তাই তোমায় ভীষন মনে করতে ইচ্ছে হয়।।