সেইদিন দেখেছিলাম তোমায়,
কোনো এক প্রাত:কালে,
দাড়িয়েছিলে নদীর পাড়ে,
আহা!সেকি রূপ,সেকি মায়া,
কুন্তল তোমার গভীর তমসার বাসা,
ছিলে এলো কেশে আনমনা ভাবে,
খোলা চুল মৃদু হাওয়া,
দুলছিল তোমার আঁচল খানা,
বইছিল মনে জোয়ার ভাটা,
চাঁদের ও নেই এত শোভা,
যেন সে এক অপ্সরা,
তোমার মাঝেই স্বর্গ ছায়া,
গাইছিলে মন একমনা,
কণ্ঠে তোমার সুরের মোহনা,
কোকিলা তুমি, তুমিই মোর প্রিয়তমা।
অধর তোমার গোলাপ রাঙ্গা,
পুষ্পধনু করছে খেলা,
আর ঐ হরিনাটানা মায়াবী চোখে,
রামধেনুরা বাধা বাসে,
যখন তুমি বারেক ফিরলে,
মনে হচ্ছিল যেন ঐ মায়াবী চোখের আড়ালে
পুরো বিশ্ব আজ পড়ছে লুটায়ে,
আর বলছে-
তুমি কি আমার হবে,
আর আমায় একটু ভালোবাসবে।
শুচিস্মিতা হাসি তোমার
গঙ্গার ন্যায় পবিত্র
তুমি হাসলে যেন সূর্য হাসে,
সঙ্গে পুরো বিশ্ব হেসে বলে,
তুমি কি আমার হবে,
আমায় একটু ভালবাসবে।।
এই প্রভাতবেলা কে তুমি ললনা?
দাড়িয়ে আছ একেলা,
রূপে তুমি সরস্বতী,
দর্শনেই মিটে সব যাতনা,
তোমার রূপের স্রোতস্বতীতে
নিয়োগো মোরে ভাসাইয়া,
এটাই যে মোর কামনা।।
হে রূপের স্রোতস্বিনী,
মনটা তোমার সিন্ধু সম,
তোমার ঐ বিশাল সিন্ধে,
আমায় একটু জায়গা দিও,
তোমার সাথে থাকতে দিও
দর্শনেই আমি তোমার হয়েছি,
তুমিও কি আমার হবে?
আমায় একটু ভালোবাসবে।
কবিতাটি লেখা ২০১৯ সালের ১০ ই আগষ্ট