ভাত কই মা? চাউল নাই বাপ!
লইয়া আয় মা! দেশে যে অভিশাপ!
খামু কি তাইলে? কেমনে কইতাম?
মইরা যামু নি? মুখে দে লাগাম!
ক্ষুধা লাগছে মা? খাড়া বাপ যাই।
কই যাস মা? দেখি কি পাই?
লাগবো না মা। তুই ঘুমাইস না!
খাড়া আমি আহি, পিছে আহিস না।
অসুস্থ ফটিকের জন্য খাবারের খোজে চলে যায় মা। কোথাও যদি কোন দয়াবান কিছু দেয়, কিন্তু না, সে গুড়ে বালি। সেই রাতে খালি হাতেই ফিরতে হয়। ফটিক ঘুমায় নি। কাজ নেই, তাই একমাত্র ছেলেকে খাওয়ানো বা চিকিৎসা করানোর পয়সা নেই।
এদিকে রফিক মিয়া স্বল্প আয়ের মধ্যবিত্ত, চাকরী চলে গেছে এই দুঃসময়ের দরুন। হঠাৎ ছোট্ট পরীর মতো মেয়ের বায়না,,
আব্বু শুনছো? আম্মু কি চায়?
সামনে ঈদ না? হ্যা জানে বাবায়।
লাল জামা কই? আসবে চলে।
আজকেই চাই। দেরী হলে?
না না না,, এমন করে না!
আজকেই দেবে। একটু বোঝো না!
পাঁচ বছরের একটা বাচ্চা আর কি বুঝবে? মায়ের হাত মেয়ের দিকে উদ্যত হলে বাবা বারণ করেন। মেয়ের কান্না যে দেখা যায় না। তাই রাতেই বেরোয় কাজের সন্ধানে। কিছু টাকার সন্ধানে। কিন্তু কে দেবে কাজ? কে করবে সাহায্য? গা খাটানোর কাজ গুলিও যে বন্ধ! সেই রাতে সেই বাবাকেও খালি হাতে ফিরতে হয়, মেয়ে ঘুমিয়েছে, হয়তো সকালে ভুলে যাবে সব। কিন্তু ঈদের দিন?
না জানি এমন কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, এ কঠিন সময়ে। কেউ কি হাত বারাতে পারি?