এখানে কি? কিছু না মামা।
কি দেখছিস? ওই লাল জামা।
নিবি ওটা? কি যে বলেন?
কি বললাম? সরেন সরেন।
নাম কিরে তোর? মানিক চোরা!
চোরা হইলো কেন? ডাকে ওরা।
চুরি করিস তুই? একদিন করছি।
কি নিছিলি? রুটি নিছি।
বাড়িতে কে কে? আমি আর বইনা।
মা-বাবা নাই? বাবারে চিনি না।
মা আছে তো? মইরা গেছে!
বোন থাকে কই? আমার কাছে।
এখন আছে কই? রহিমার লগে।
কি হয় তোর? খালা লাগে।
এখানে কেন তুই? খাওন কিনুম।
টাকা আছে সাথে? কাগজ বেচুম।
খাইছিস কিছু? না খাই নাই।
আয় কিছু খা? বইনা ছাড়াই?
মানিককে নিয়ে দীপু চলে গেল ওদের বস্তিতে। কিছু খাবার নিয়ে যাচ্ছে। একজন ক্ষুদে যোদ্ধা আর তার ছোট্ট বোনের তৃপ্তি ভরে খাওয়া দেখবে দীপু।
ওদের খাওয়া আর উচ্ছ্বসিত চোখ দুটি দীপুর প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। ওদের খাওয়া শেষ হলে ওদের দুজন কে নিয়ে মার্কেটে আসে দীপু। মানিকের পছন্দের লাল শার্টটা ওকে কিনে দেয়। আর ছোট বোনের জন্যও একটা লাল সুন্দর জামা। ওদের হাস্যজ্বল মুখ দেখে প্রাণে খুশির হিল্লোল বয়ে যায় দীপুর। ওদের বাড়ি পৌছে দিয়ে আসার পথে মানিকের ছোট্ট বোনটা দীপুর হাত ধরে টেনে বলে,
কই যাও মামা? বাড়ি যাই আজ।
কবে আসবা? যেদিন পরে কাজ।
এইটা নাও। আমার জন্য?
চকলেট খাও। কিসের জন্য?
তুমি তো ভালো। মিষ্টি বুড়ি!
মিষ্টি আমি? বাচ্চা পরী!
আইসো মামা! আসবো মামনী!
অপেক্ষা করুম। আমি জানি।
চলে আসে দীপু। একরাশ আনন্দ নিয়ে। অপেক্ষা আবার কোন পরীর। যে পরী পরীস্থানে নয়, রাস্তায় থাকে। আর হয়তো আবার দেখবে কোন মানিক যোদ্ধা।