বদলে যাওয়া রাত ।
গাল বেয়ে চুইয়ে পরছে অন্ধকার,
দোলনা খানা ফাঁকা চাদর মুরি দিয়ে বসে আছে;
এখানেই এঁকেছিলাম আমার শৈশব-কৈশোর
আমার না বোঝা অলস ছেলেবেলা,
হাতে খড়ির নিশ্চুপ দুপুর মুক্ত ধারার মতো স্মৃতির পাঁজরে ।
যেদিন অবাধ্য ছেলের মতো বার বার
প্রেমে পরার ঝড় উঠেছিলো এই রঙিন মনের বন্দরে,
তুমি তখন সতেরো;
আমি বয়সে তোমার ছোট না বড়, হিসাব করিনি ।
বন্ধুরা এগিয়ে দিলো ।
সেই বকুল গাছ- আমায় ছন্দ শিখিয়েছিল !
তুমি কবিতা ভালবাসতে ।
তার পর থেকেই তো ছন্দ কাঁদে,
মাঝ রাতে- অথবা ডুবে যাওয়া বিকেল দেখে ।
একদিন খুব ভোরে আমায় ডেকে তুললে।
সামনে যাওয়ার মুরোদ ছিল না তখন,
জেনেছিলাম- এই নদী অন্য কোথাও বয়ে গেছে ।
আর জেগে থাকিনি, তবু ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন কাঁদে,
লোকাল ট্রেনে ঝুলে যেতে আর ভয় হয়নি।
মনের মধ্যে বিশ্ব যুদ্ধের দামামা বাজে;
এ যুদ্ধ তোমার আর আমার;
অথচ জানতে দিইনি…
আমি হারতে ভালবাসি,
তুমি জিতলেও একদিন বৃষ্টির দিনে চোরা পথে গেলে ।
তারপর কেটে গেল বছর পনেরোর তুচ্ছতা,
বাড়ি ছেড়ে বেসরকারি একটা পার্ট টাইমের সময় কাটাই ।
ফিরতে ইচ্ছে হল;
অজুহাত সরিয়ে না জানিয়েই ।
রাত ।
বদলে গেছে অলিগলি।
সারি সারি ল্যাম্প পোস্ট- ইটের দেয়াল ।
ভাঙতে দাও আমায়,
চিৎকার করতে দাও আমায়-
বলতে দাও-ও নদী তুই ফিরে আয়,
দ্যাখ আমি তোর জন্য স্বপ্ন এনেছি…