করোনা বর্ষায় মৃত্যু বাজের মেঘ যখন
ভয়ানক গুড় গুড় গুড় করে
যখন সবাই আপন ঘরে বসে,
তখন স্টেথোস্কোপের লাঙল কাঁধে বর্ষাতি পরে
স্বাস্থ্য ক্ষেতে ভিজতে ভিজতে
"অমূল্য" চাষ করেন একাকী ডাক্তারবাবুরা
নিঃসঙ্গ সঙ্গীহীন একলাটি।
করোনা অতিদূষণে যখন
মাসের পর মাস যমরাজ হাতছানি দেয়
যখন সবাই সুস্থ পরিবেশে একসাথে ঘরে খায়
তখন স্টেথোস্কোপের গামছা কাঁথে
ঘামে ভিজতে ভিজতে জীবনের কারখানায়
পরিযায়ী ডাক্তারবাবুরা অত্যবশ্যক "শ্রমদান" করেন
তবুও তারা নিঃসঙ্গ সঙ্গীহীন একলাটি।
করোনা অমানবিকতায় যখন
ভবিষ্যতের মৃত্যু হয় কাতরাতে কাতরাতে প্রতিদিন
যখন অন্যেরা সবাই একসাথে টিফিন খায়, খেলে
তখন নরমমন নামের স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে
শিক্ষাঘরে দুর্ভাগ্যের জলে একলা ভিজেন
বস্তিবাসী, দলিত, ছেঁড়া জামা "কিশলয়বাবুরা"
পকেটখালি তাই প্রত্যাখাত, যেন স্বপ্ন দেখতে নেই।
করোনা অতি অ-সুখে যখন
নিজের ভালোলাগার মৃত্যু হয় তিল তিল করে
যখন স্বামী, সন্তানরা একত্রে বসে টিভি খায়
তখন রান্নাঘরে খুনতি নামক স্টেথোস্কোপ হাতে
গৃহের চিকিৎসা করেন অবলা ডাক্তারবাবু
খুশিমনে, তবুও "অবহেলার জলে" ভিজতে ভিজতে
নিঃসঙ্গ সঙ্গীহীন বড়োই একলাটি।
করোনা অতি অসুস্থতায় যখন
ভালোবাসা আর আশা দিন দিন চোখরাঙায়
যখন অন্যেরা একসাথে থাকে খায় হাসিখুশি
তখনও বৃদ্ধাশ্রম নামক ডাক্তারখানায়
আশীর্বাদের স্টেথোস্কোপ হাতে টলটল চোখে
সন্তানের জন্য সুপ্রার্থনা করেন "দুই ডাক্তার ও নার্স"
নিঃসঙ্গ নিঃস্ব নিঃশ্বাসত্যাগী।
একদিন কোভিডযুদ্ধে আমরা জয়ী হব।
কিন্তু আমরা কবে জয়ী হব?
নিষ্ঠুরতা নামক অতিমারী মরবে কিভাবে?
মানবিকতার মাস্ক, সুসংস্কারের স্যানিটাইজার,
সুসংস্কৃতির লকডাউন ও সবশেষে ভালোবাসার টিকা
এইগুলি ছাড়া এই অতিমারী যাবে না
কারণ এই "পুরনো" করোনা হৃদয়ে আক্রমণ করে।