আমি ভাসিবো শরতের মেঘ রূপে, সোনার বাংলার বুকে হয়তো শীতের কুয়াশা হয়ে ঘিরিব চারিদিক,
নয়তো গ্রীষ্মের ক্রোধে বুড়ো ঘাসের ওপর শিশির হয়ে
থাকিব সারাবেলা

নয়তো গাছ হব অশ্বত্থ ছায়া দেবো বাংলার বুকে
আমি ভাসিবো শরতের মেঘ রূপে।
  
আবার কোন একদিন মিলাইয়া যাবো এর মাঝে,
কোন এক নতুন সাজে,সোনাঝুরি গন্ধ মেখে
শাল পলাশে মাথা রেখে নব জন্মের কাজে।
পুকুরের মাছরাঙার রঙ নিয়ে মিলাইবো রংধনুর দেশে
শান্ত বনে গান ধরিবো কোকিলের বেশে।

হয়তো রাখাল হব সারাদিন মাঠের রব,
রৌদ্রের আভা হতে গোধূলি বেলা আনিব ডাকি
হেমন্তে উড়ে যাব হয়ে এক পাখি।
আমি কালবৈশাখীর ধুলো হয়ে ভেজাবো সবার আঁখি।

গ্রীষ্মের কড়া রোদে বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে ঝরিবো মায়ের বুকে
বেদনা ঘুচিয়ে সাজাবো নব রূপে, শস্য শ্যামল সোনালি আভায় ভরিয়ে দেবো ঝাঁকে।
বসন্তের বিকেলে পলাশ ফুল হয়ে সবার নজর নেব কেড়ে, যাবনা বাংলা ছেড়ে, আমি যাবনা বাংলা ছেড়ে;
আমি থেকে যাব বাংলার দূর্বাঘাস আকড়ে ধরে।

শরতের মেঘ রূপে ভাসিবো বাংলার বুকে, আমি ভাসিব বাংলার বুকে।