ধেনু কহে,ওহে পড়ন্ত মেঘ ঘুচিয়ে দে গোধূলির
উড়ন্তধুলো,বৃষ্টি ঝরিয়ে দে ধরা তলে,
ধাত্রী মা এর শুকনো কোলে,ভরে উঠুক তরুণ সন্ধ্যা।
ফাঁকা প্রান্তরে রোদ ঝাজালো,
সমস্ত আফোর বুঝি শুকিয়ে এলো।
বর্ষা এখনো আসেনি আকাশে,
চাষির গরু কি বিকাবে হাটে।
আষাঢ়, আজ শেষের মুখে,কাদা নেয় কোনো হালের নখে,
চারি দিকে প্রখর রোদ,একি ভগবানের ক্ষিপ্ত কোনো
ক্রোধ।
জিরি জিরি বৃষ্টি তে ভিতা যুরার শ্রম ,সেসব আজ কোথায়,
মাথার উপর নেইতো, আজ বৃষ্টির কোনো ক্রোম ।
মাঝে মাঝে এক ফসলা, হয়তো কোথাও ফাঁকা
আকাশের সাদা মেঘগুলো, ঘুরছে একা বেকা।
ক্ষেতের মাঝে কত কাজ করবি তরকারি,
শ্রাবণ বলে আমি এলে বৃষ্টি হবে ভারী।
সেই ভেবে চাষির ছেলে বসে আছে নিরবে,
বর্ষা নামবে, নামবে আর কবে।
গরুর কাঁধে থাকবে জুয়াল,থাকবে পায়ে মাটি
কবে মায়ের কৃপা হবে উটবে ,শষ্য ভর্তি ঘটি।
ধেনু কহে , সোনার স্রোতে ভরিয়ে দাও
আমার এ বাংলার বুক,
যারা বসে আছে নিরবে, দাও তাদের অফুরন্ত সুখ।