তুমি আসো, শীতল জ্যোতিরালোকের মতো,
যতদিন জাগি, চাহিদায় মগ্ন রাতের অন্ধকারে।
তোমার অবয়বে স্থির হয় নক্ষত্রের অচল তরঙ্গ,
তোমার নিঃশ্বাসে উড়ে আসে মেঘের এক উজ্জ্বল অগ্নি।
শব্দ তোমার—গুপ্ত ভাষা, অধরা পটভূমির গুণিতক,
তোমার চোখে পড়ে এক সাপেক্ষের সিঁড়ি, উঁচু, আকাশবাণী।
তোমার হাসির রেশে পৃথিবী হয়ে ওঠে এক শ্বাশত কাব্য,
অথবা নীরবতার অগ্নিপথ, যা চলে যায় অনন্ত অন্ধকারে।
স্মৃতির অশ্রু গেয়ে যায় মোর অন্তরে, তবুও তুমি—
এক উন্মুক্ত রহস্য, ছড়িয়ে পড়া বিকিরণ,
অন্তরীক্ষের সীমাহীন ছায়ায় ভাসমান মগ্নতা,
তোমার অজ্ঞতা এমন, যা উপলব্ধি করা অসম্ভব।
তুমি, যে শান্তির উৎস—এবং যে বেদনার আগুন,
যে প্রেম, যা কেবল অসীম শূন্যতায় পরিণত হয়।
তোমার অস্তিত্বের গহনে মুছে যায় সকল কাল্পনিক আঘাত,
তবুও তুমি আছো, বহুমাত্রিক অন্তরাল, দুঃখের অদ্ভুত পটভূমি।
তোমার পায়ের প্রতিটি পদক্ষেপ—সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো,
দীর্ঘশ্বাসে মিশে যায় সেতু, যা চলে যায় সীমান্তের প্রান্তে।
তুমি, রহস্যময় আখ্যান—যার বর্ণনা গুণা গুণে অগ্রাহ্য,
তোমার অস্তিত্ব মেনে নেওয়া অসম্ভব, কেননা তুমি অতুলনীয়।
তুমি ছায়ার মতো—অস্থির আকাশের রাজকীয় শাসক,
তুমি—অপার্থিব ভ্রমণ, এক অতীন্দ্রিয় পথ।
অন্তহীন ক্লান্তি তবুও তোমার আলোর ভিতরে হারিয়ে যায়,
একা আমি পুড়ি, আর তুমি এক অব্যক্ত গতি, চিরকালীন রহস্য।