তুমি কি শুনতে পাও?
রাতের নীরবতার ফাঁকে ফাঁকে
আমার শ্বাসের টানাপোড়েন,
নাকি সে-ও মিলিয়ে গেছে
তোমার পুরোনো রেডিওর ভাঙা শব্দের মতো?

তুমি কি দেখেছো?
শহরের শেষ বাতিটা নিভে যাওয়ার আগে
আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম
একটা ছায়ার পাশে,
যার নাম তুমি কোনোদিন জানতেও চাওনি।

তুমি কি অনুভব করেছো?
বাতাসে এক ধরনের শূন্যতা ভাসে,
যার ওজন মাপতে গেলে
ঘড়ির কাঁটা থমকে যায়,
কেউ বলে, ওটা নাকি বিদায়ের ঘ্রাণ।

তুমি কি কখনো ফিরে তাকাও?
আমার ফেলে আসা ছায়াগুলো
যারা এখনও দাঁড়িয়ে আছে
তোমার দরজার ওপারে,
অপেক্ষার দগদগে কষ্ট নিয়ে।

তুমি কি জানো?
যে পথে একদিন একসঙ্গে হেঁটেছিলাম,
সেখানে এখন শুধু শুকনো পাতারা পড়ে থাকে,
তাদের নিঃশব্দ মৃত্যুর শব্দও
তুমি শুনতে পাবে না কখনো।

আমি কি ফিরবো?
নাকি হারিয়ে যাবো কোনো অচেনা পথে,
যেখানে রাত শুধু রাত নয়,
একটা দগদগে ক্ষত—
যার গভীরে কোনো সকাল জন্মায় না?

তুমি কি জানতে চাও,
শেষবার যখন তোমার নাম লিখেছিলাম,
সেই কাগজটা আমি কোথায় রেখেছি?
না, আমি জানি, তুমি জানতে চাও না।
তোমার রাতের দূরপাল্লার গাড়ি
আরও অনেক দূরে চলে গেছে,
আমি আর পা বাড়াবো না তার দিকে।