আলো ঝরে রঙিন আকাশে, বাতাস গেয়ে চলে গান,
সবুজ ঘাসে শিশুরা দৌড়ায়, আনন্দিত প্রাণ।
নদীর স্রোতে সোনার প্রতিচ্ছবি, উচ্ছল হাসির ঢেউ,
শিশুরা জানে না দুঃখ কী জিনিস, নেই অভাবের কেউ।

ক্ষুধার্ত অধর নেই কোথাও, নেই ক্লান্ত বিষন্ন দৃষ্টি,
নেই নিরব কান্নার প্রতিধ্বনি, নেই অভিশপ্ত সংকটের সৃষ্টি।
তপ্ত দুপুরেও মায়ের আঁচল ছায়া দেয় কোমল করে,
শিশুর মুখে লেগে থাকে শুধুই ভালোবাসা অমৃত স্বরে।

এখানে মাটির গন্ধ মিশে থাকে স্নিগ্ধ সজীবতায়,
নেই কোথাও নিরাশার ছায়া, নেই অভাবের ব্যথায়।
সব পথের শেষে আশার আলো, নেই বিপদের ছায়া,
প্রতিটি ঘরেই আলো জ্বলে, সুখের সুরে গাঁথা মায়া।

নেই শীতার্ত রাতের কষ্ট, নেই ক্ষুধার থরথর হাত,
নেই ফুটপাতে ভেজা শরীর, নেই নিঃসঙ্গ ক্লান্ত রাত।
শিশুরা হাসে, স্বপ্নে বাঁচে, বেড়ে ওঠে নিশ্চিন্ত প্রাণে,
নেই কোনো দুশ্চিন্তার ছায়া, নেই লাঞ্ছনার মলিন বানে।

সত্য মুক্ত, মিথ্যা নতজানু, নেই অন্যায়ের আস্ফালন,
ভালোবাসা ছড়িয়ে যায় আকাশে, নেই হাহাকার কোনোক্ষণ।
প্রতিটি হৃদয়ে শান্তির শপথ, নেই বৈষম্যের শিকল,
অভিমানী অশ্রু মুছে দিয়ে মানবতা হাসে চঞ্চল।

এমন এক পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ আর একা নয়,
যেখানে প্রতিটি শিশুর মুখে তৃপ্তির হাসির রোশনাই।
সকল প্রাণে থাকবে স্বস্তি, থাকবে না আর নিঃসঙ্গতা,
মানবতা হবে অমলিন দীপ্তি, শান্ত হবে দুঃসময়ের যন্ত্রণা।