তুমি কি জানো, শুক্রগ্রহের আকাশ চিরকাল অন্ধকার?
সেখানে ভালোবাসা থাকলেও আলো থাকে না,
যেমন তোমার আমার মাঝে একসময় আলো ছিল,
কিন্তু ধোঁয়াশার মেঘ ঢেকে দিল সে উজ্জ্বল দিনগুলো।

আমি কি তবে বৃহস্পতির মতো?
অসংখ্য চাঁদ আমাকে ঘিরে থাকলেও,
শুধু তোমার মাধ্যাকর্ষণেই টিকে ছিলাম,
তুমি সরতেই আমি ঝড়ের মাঝে ঘূর্ণি খেতে লাগলাম।

তুমি কি জানো, স্যাটার্নের বলয়ও ক্ষয় হয়?
সেও একসময় ধুলো হয়ে মহাকাশে মিলিয়ে যাবে,
ঠিক যেমন আমাদের ভালোবাসার স্মৃতিগুলো,
ধীরে ধীরে ভেঙে যাচ্ছে, মহাশূন্যে হারিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলগ্রহের ধুলোঝড়ের মতো,
তুমি একদিন অভিমান নিয়ে চলে গেলে,
আমি পৃথিবীর মতো প্রাণভরে তোমাকে চাইছিলাম,
কিন্তু তুমি ছিলে রুদ্ধ, বরফাচ্ছাদিত, প্লুটোর মতো নির্লিপ্ত।

তবু তুমি কি জানো, মিলনের জন্য সময় থেমে থাকে না?
দূরের নক্ষত্রদের মতো, আমরা হয়তো আজ আলাদা,
কিন্তু আলোরও সময় লাগে পৃথিবীতে আসতে,
হয়তো কোনো এক দিন, কোনো এক কক্ষপথে,
তুমি আর আমি আবার একত্র হবো—
একই ছায়াপথে, একই মহাজাগতিক জোয়ারে।

কিন্তু মহাবিশ্বের নিয়ম তো পরিবর্তনশীল,
আজকের দূরত্ব কাল হয়ে যেতে পারে নিকটতা।
সময়ের কালচক্রে হয়তো কোনো নতুন নীহারিকা জন্ম নেবে,
সেখানে তুমি থাকবে, কিংবা আমি, এক নতুন রূপে।

তখন আমরা কি আবার নতুন সূর্যের তলে দাঁড়াবো?
নতুন ছায়াপথে খুঁজে নেবো পুরোনো ভালোবাসা?
নাকি এই দূরত্বই একদিন হয়ে উঠবে অনন্ত,
শুধু দগ্ধ নক্ষত্রের মতো স্মৃতির ভেতর জ্বলতে থাকবে?