ক্ষমতার মসনদ আলোয় ঝলমল,
তবু জনতার ঘর অন্ধকার,
ভাতের অভাব, ন্যায়ের অভাব,
চোখে স্বপ্ন, পেটে হাহাকার।

যে-ই আসুক, লুটে খায়,
অন্যায় রেখে সিংহাসন সাজায়,
পথের ধুলোয় শুয়ে থাকে জনতা,
বুকে ক্ষোভ, মুখে বোবা হায়।

ভোটের আগে হেঁটে আসে,
গরিবের ঘরে খায়—
ভোটের পরে নেতার দেখা,
পাওয়া বড় দায়!

বক্তৃতায় ঝরে আগুনের ভাষা,
আসলে পায়ে শেকলের বাঁধ,
গণতন্ত্র মুখোশ পরে হাসে,
প্রাসাদের বুকে জমে অবসাদ।

এই দেশে নেতা কাঁদে না,
কাঁদে শুধু মানুষ,
জনতার বুকে ক্ষত বাড়ে,
ওড়ে শোষণের ফানুস।

রাজনীতি আজ ক্রীতদাস ব্যবসা,
মূল্য শুধু ক্ষমতার নেশা,
এই দাসত্ব ভাঙতে হলে
বিদ্রোহ চাই, জাগুক রেষা!

ক্ষমতা নয়, চাই অধিকার,
চাই সত্যের আলোকরথ,
হোক না আজ বিদ্রোহ শুরু,
ভাঙুক সকল যন্ত্রণা-মথ!


এই কবিতায় আমি একজন সাধারণ মানুষের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, বঞ্চনা ও শোষণের চিত্র তুলে ধরেছি। তবে এটিই চূড়ান্ত বাস্তবতা নয়—আমাদের লক্ষ্য হতে হবে এসব সমস্যাকে অতিক্রম করে একটি সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আমাদের প্রত্যয় হোক ন্যায়, স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির পথ তৈরি করা, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার অধিকার ও মর্যাদা পাবে।

আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, দেশের প্রতিটি মানুষকে ভালোবাসি।
বাংলাদেশ, তুমি অমর হও!