শহরটা যেন এক অভয়ারণ্য, শকুনে ভরা,
ধর্ষকের উল্লাসে ধূলিসাৎ ন্যায়, নীরব ধরা।
আলো নিভে গেছে, চিৎকার বুঝে গেছে বাতাসে,
অপরাধীর পদচিহ্ন জমেছে শহরের অলিগলিতে।
বিচার নেই, প্রতিকার নেই, ভয়হীন দুর্বৃত্তের দল,
তাই নেমেছে রক্তস্নাত অন্ধকার, তাই ফিরেছে অতল।

ফিরে এসেছে হারকিউলিস, হাতে তলোয়ার,
শতাব্দীর ঘুম ভেঙে আজ নেমেছে আবার।
ধর্ষকের শিরশ্ছেদ, প্রতিটা গলিতে লেখা,
"ইহাই আমার প্রকৃত শাস্তি"—রক্তের রেখা।
তপ্ত শিরশ্ছেদের ধুলোয় লুটায় অপরাধী,
শকুনেরা কেঁপে ওঠে, থেমে যায় নগরীর গতি।

নদীর জলে মিশছে পাপের গলিত ছায়া,
হাড়ের স্তূপে দাঁড়িয়ে থমকে গেছে সভ্যতা।
এক রাতেই বদলে গেছে শহরের রঙ,
হারকিউলিসের শাসনে নেমেছে নীরবতা।
যে হাত ধর্ষণ করেছিল, সে হাতই বিচ্ছিন্ন,
যে চোখ উপহাস করেছিল, সে চোখ আজ নিঃশেষ।

যে জিভ হাসত অবিরাম নারীর আর্তনাদে,
সে জিভ আজ ছিন্ন, রক্তে মাখা পড়ে।
পথের ধুলোয় গড়াগড়ি খায় দানবের দেহ,
শহর অবশেষে দেখল প্রতিশোধের ক্ষয়।
ভয়ের ছায়া নেমেছে ভীতু রাতের কোলে,
ধর্ষকের দল লুকিয়ে আছে অন্ধ গহ্বরে।

তবু কি এটাই শেষ? ন্যায় কি এভাবে বাঁচবে?
প্রতিশোধ কি আদৌ শান্তি এনে দেবে?
হারকিউলিস নয়, ফিরে আসুক আইন,
শক্ত হাতে ধর্ষকের জন্য নির্মম শাসন।
আইন প্রতিষ্ঠিত হলে, ফিরে আসবে সুবিচার,
তা না হলে হারকিউলিস ফিরবে বারবার!