মাঘের শেষে ফাগুন এলো, নরম মিঠে হাওয়া,
আমের ডালে মুকুল ফুটে দিলো সোনার ছাওয়া।
মৌমাছিদের ডানার গুঞ্জন, বাতাসে মধুর সুর,
ফসলহীন মাঠের বুকে বসন্ত দিল নূর।
ধানহীন মাঠ, শূন্য পড়ে, নেই সবুজের ঢেউ,
তবু বিকেল হলেই তাতে কোলাহলের ভেউ।
গোল্লাছুট আর কাবাডিতে মাতন চলে রোজ,
হাসির রোল, দৌড়ের ধুম—আনন্দ খোঁজে খোঁজ।
ওই যে বিশাল পুরনো গাছ, পাখির শত ভিড়,
কিচিরমিচির শব্দ তোলে, সন্ধ্যা নামে ধীর।
নতুন পাতার কোমল ছোঁয়ায় দোলে গাছের প্রাণ,
ফাগুন এসে রঙিন সাজে রাঙিয়ে দেয় ত্রাণ।
লাউয়ের মাচায় কচি লাউ, শিমের থোকা ভার,
টমেটো লাল, মূলা, গাজর—রঙিন তারি সার।
পুঁইশাক আর পালংশাকে বসন্ত দিয়েছে হাত,
সবজির এমন বাহার দেখে উচ্ছ্বসিত গ্রামবাংলার ঘাট।
ফাগুন এলো শান্ত সুরে, গায় বসন্ত-রাগ,
নতুন পাতা, নতুন কুঁড়ি, জাগে প্রাণের আগ।
বাতাস বয়ে মোহন সুরে দেয় অফুরান ডাক,
এই বসন্ত ভালোবাসার, নতুন আশার ফাঁক।