দেখো, এই দুনিয়ায় বুদ্ধির কসাই,
স্বার্থের তেলেতে মাখা কদর্য পরিচয়।
ওদের রক্তে মিশে ধূর্ততার ছাপ,
অন্ধ অনুগামী, বিষাক্ত প্রতাপ।

ওরা জিহ্বায় মাখে চাটুকারের মধু,
পায়ের ধুলো গিলে স্বর্গসুধার মোহে!
সত্যের ছায়ায় ওদের দৃষ্টি ঝাপসা,
মিথ্যের ঢাকায় নৃত্য করে নির্লজ্জ হাস্য।

যে বলবে 'না', তার কণ্ঠ রুদ্ধ,
যে দেখাবে আয়না, তার শির ছিন্ন!
ওরা তো সাধু, সদ্যোজাত শিশুর মতো,
কলুষহীন, শুভ্র, ধোয়া তুলসীপাতা।

তর্কের তলোয়ার ধারালো করেও,
ওদের চেতনার তালা খোলো কে কবে?
ওরা সত্যকে তোলে ঠাট্টার মঞ্চে,
বিবেকের শব নিয়ে নৃত্য করে অগ্নিশিখায়।

কালোকে ওরা রঙ মাখিয়ে করে শুভ্র,
নষ্টের স্তম্ভে তোলে সুবাসিত গন্ধ।
গোঁয়ার গোবিন্দ, যুক্তির শত্রু,
ধ্বংসের পূজারি, প্রগতি-বিদ্বেষী কপট চরিত্র!

পৃথিবী যতদিন, ওরা ততদিন,
বংশানুক্রমে শয়তানের উদগিরণ।
সময় লিখবে ওদের নামের পাশে,
কুকীর্তির কালি, নরকের ভাষায়!