#প্রথম রূপ

কোনো এক কাকহীন কাকভোরে,
শুভ্র শিউলিতে কোঁচড় ভরিয়া,
হাটিতেছিলাম স্বচ্ছতোয়া জীবনের তীরে,
অরূনোদয় দেখিতে গিয়া গো-ধূলি মাখিয়া
ফিরিলাম অবশেষে।

মধ্যাহ্নের প্রভাতকালে,
পাহাড়ী নদীর ন্যায় উচ্ছলতা হারায়ে,
অভুক্ত শিশুটির ন্যায় বহিতেছিলাম সমতলে।
পেজা তুলোর ন্যায় কোমল অধমাঙ্গ,
শারদীয় জীমূতের ন্যায় এলোমেলো শুভ্র দন্ত,
জিহ্বা তখনও ছিল পাটল বর্ণের।

মধ্যাহ্নের প্রভাতকালে,
গোধূলি মাখিয়া ফিরিলাম অবশেষে।
মিলিয়া গেলাম নব প্রত্যুষে,
জ্যোৎস্নাভূক মাতাল হইয়া উদাসী বাউল গাহিলাম নবসুরে,
অলকানন্দার ন্যায়,বাসি শিউলি ঝাপায়ে পড়িল অবশেষে,
মিলিয়া গেল নব প্রত্যুষে।

#দ্বিতীয় রূপ

কোনো এক কাকহীন কাকভোরে,
শুভ্র শিউলিতে কোঁচড় ভরে,
অরূনোদয় দেখতে গিয়ে গো-ধূলি মেখে
ফিরলাম।

তখন মধ্যাহ্নের প্রভাতকাল,
লাউডগার মতো বিষাক্ত নয় জীবন,
লাঊয়ের ডগার মতো দূর্বল।
মুঠো হাতের ছাপের মতো পায়ের ছাপ,
শরতের মেঘের ন্যায় শুভ্র এলোমেলো দাত।
জিভ তখনও কালচে নয় গোলাপি।

তখন মধ্যাহ্নের প্রভাতকাল,
গোধূলি মেখে ফিরলাম,
নব প্রত্যুষে গড়াগড়ি খেলাম,
জ্যোৎস্না খেয়ে মাতাল হলাম,
বিনা তারেই গাইলাম বাউল।
বাসি শিউলি অলকানন্দার মতো ঝাপ দিল কোঁচড় থেকে,
আর মিশে গেল নব প্রত্যুষে।