এই দুনিয়ায় মানুষ বসবাস করে,
এই সত্য কথাটা,
মাঝে মাঝে কেন জানি ভুলে যাই।
মানুষের সাথে থাকতে থাকতে,
মানুষের মাঝে চলতে চলতে,
মানুষ এতোটাই আপন হয়ে
হৃদয়ে,মন-মগজে মিশে যায় যে,
সে যে "মানুষ" তা আর মনেই থাকেনা।
মনে হয় সে যেন,আমার হাতের পুতুল,
আমার আঙ্গুলের ইশারায় সে চলবে।
কিনবা সে যেন রূপকথার,
সেই প্রদীপের জ্বীন,
আমি যা বলবো, সে তো তাই করবে।
কিন্তু তা কি আর হয়?
সে যে "মানুষ"!
তার একটা নিজস্বতা আছে,
একটা একান্ততা আছে।
ভালোলাগা,ভালোবাসা,
পছন্দ,অপছন্দর
মতো অনূভুতি গুলো আছে।
আরে মানুষ তো সে!
তাই তো ভুল করে, ভুলে যায়।
নিজে কাঁদে, কখনো অন্য কেউ কাঁদায়।
এই সহজ,সরল
পরম সত্য কথাটা তখনি বুজে আসে,
যখন প্রচন্ড রকমের আগ্রহ,
আর বুক ভরা আশা নিয়ে,
চাতকের মতো,
আমরা কারো পানে চেয়ে থাকি।
আর সে পুতুল কিনবা জ্বীনের মত,
সেই আশা গুলো কে পূরণ না করে,
বরঞ্চ ইচ্ছা শক্তি সম্পন্ন "মানুষ"এর মত,
নিজের ইচ্ছেকেই পূর্ণতা দেয় ।
আর তখন হয়তো স্বশব্দে নয়,
কিন্তু মনের গভীরে গোপনে,
এই কথা ঠিকই উচ্চারিত হয়।
"মানুষ প্রতি কখনো আশা রাখাটাই উচিৎ নয়"।
"মানুষ"কে হয়তো ভালোবাসে কিছু দেয়া যায় ,
কিন্তু বিনিময়ে কিছু আশা কখনো করা যায় না।
কারন সে পুতুল নয়, যে আমার ইশারায় চলবে,
বা কোনো জ্বীন নয়,যে প্রভুর দাসত্ব করবে।
মানুষ সে তো মানুষই হয়।
চাওয়া পাওয়ার বাঁধনে
বেঁধে রাখার মত সে নয়।
মুক্ত বিহঙ্গের মতো শূন্যে ছেড়েই
তাকেঁ আগলে রাখতে হয়
মানুষ সে মানুষই হয়।