মাঝে মাঝে ভাবি,
আমার রব যদি না থাকতো!
তবে আমার কি হতো?
তুচ্ছ একফোটা জল,
কখনও কী এই মানব অস্তিত্ব পেতো?
ইতরপ্রাণীর মত দূর্বল ছোট্ট সেই দেহখানা,
আখের শক্তিশালী সুগঠিত কিভাবে হতো?
যদি না আমার রব থাকতো।
মহাবিশ্বের বুকে গ্রহ থেকে উপগ্রহ,
আরো মহাশূন্যে,এই যে জ্ঞানের বিচরণ।
অনু পরমানুর মতো ক্ষুদ্রকণা থেকে,
বিশালাকার শক্তির যে আহরণ।
রক্ত মাংসের এই ছোট্ট মগজে
এই জ্ঞান কোত্থেকে আসতো?
যদি না আমার রব থাকতো।
চৈত্রের ভর দুপুরে দাবদাহের কবলে
ওষ্ঠাগত যখন, ক্লান্ত, শ্রান্ত,তৃষ্ণার্ত প্রাণ ।
এক পেয়ালা ঠান্ডা পানি অন্তর থেকে,
শুকরিয়ার যে আনে বান।
মন তা কাকেই বা শুনাতো?
যদি না আমার রব থাকতো।
বিপদে-আপদে বালা মসিবতে,
সাহায্য চেয়ে দোয়ায় পাতা হাত।
নীশুতি রাতে, নির্জনে সেজদায় লুটিয়ে,
রব্-রব্ বলে, হেঁচকি তুলে কান্নার যে স্বাদ।
আহ্ কি যে আনন্দ,অন্তর তা কোথায় পেতো?
যদি না আমার রব থাকতো।
ভাগ্য যখন অবহেলার আঘাত করে,
আপন মানুষ গুলোও দেয় না ঠাঁই।
তখন কার নাম ধরে চিৎকার করে বলতাম,
আল্লাহ ছাড়া আমার কেউ নাই।
মাঝে মাঝে ভাবি,
যদি না আমার রব থাকতো।
সত্যিই আমার তখন কি হতো?
আমার রব আছে বলেই,
এই ধুলো কাদার এই নশ্বর পৃথিবীকে,
এখনো এতো ভালো লাগে।
আমার রব আছে বলেই,
স্বার্থপর জেনেও মানুষের সাথে,
এক সঙ্গে থাকার স্বাদ জাগে।
আমার রব আছে বলেই,
প্রচণ্ড কষ্টে বেঁচে থাকার,
আশাটুকু মনে জিইয়ে থাকে।
আমার রব আছে বলেই,
শত স্বপ্নের মৃত্যু হলেও নতুন স্বপ্ন,
আজো মনে আশার আলো জাগে।
তাই মাঝে মাঝে ভাবি,
এই পাপী বান্দার আসলেই কি হতো?
যদি না আমার দয়াময় রব থাকতো।