দুই চোক্ষের মধ্যে তুমি,
এমন কইরাই বইস্যা গেছো যে,
তোমারে ছাড়া আর কিচ্ছুই দেহা যায় না।
চকে, সরকে,
গঞ্জের হাঁটে ,নদীর ঘাটে,
যেহানেই যাই না ক্যান।
যহনি কারো দিকে নজর পড়ে,
তক্ষনি ফট কইরা তোমার মুখটা,
চোক্ষের মধ্যে ভাইস্যা উঠে।
কারোর চোখ দুইটার মধ্যে,
তোমার চোক্ষের মিল খুঁইজ্যা পাই,
তো কারোর আবার হাসির মধ্যে তোমার হাসির।
কারোর নাক, কারোর ঠোঁট,
কারো বা আবার চুলের মধ্যে ।
আর মিলের মতন
যদি কিচ্ছু নাও পাওন যায়।
তাইলে গালের ঐ ছোট্ট কালা তিল খান দেখলেও,
তোমার কায়া খান,চোক্ষে ভাইস্যা উঠে।
মানে যাই কিছুই হোক না ক্যান?
তোমার কায়া চোক্ষে ভাইস্যা উঠবোই উঠবো।
চোক্ষের সামনে ভাইস্যা উঠে,
তুমি নথ নাইড়া নাইড়া
খাওনের পুটলা নিয়া চকে যাইতেছো।
তুমিই যেন্ কাপড় কাঙ্খে,
গ্রামের বাঁকা পথ ধইরা নদীর ঘাটে যাইতেছো,
তোমারে শুধু তোমারেই দেহি।
অন্য মাইনষের অস্তিত্ব,
আমার দুই চক্ষু খুঁইজাই পায় না।
এই যে চোক্ষের মধ্যে তোমার বসবাস,
হাজার চাইলেও এই চোক্ষের থেইক্যা,
তোমারে নামানোও যাইবো না।
মরার আগ পর্যন্ত যতক্ষণ দেহে জান আছে,
ততক্ষণই এই চোক্ষে তুমিই আছো।
এক মরন-ই হয়তো পারবো,
তোমারে এই চোক্ষের থেইক্যা নামাইতে,
তাছাড়া আর সম্ভব না।