নদী! এই যে নদী! একটু শোনো,
বাতাস, ও বাতাস! কোথায় যাচ্ছো?
একটু থেমে যাও।
বনের পাখি!
আরে! তুমি আবার চললে কোথায়?
একটু দাড়াও, আমার কিছু কথা শুনে যাও।
মনের না বলা যত কথা আছে,
আমার বন্ধুর কাছে তা নিয়ে যাও,
বন্ধুকে গিয়ে বলবে,
আমি পৃথিবীর মতো,
যুগ যুগ ধরে তাঁকে জেনেছি।
আর সূর্যমূখীর মতো অপলকে,
তাঁর বাঁকা নয়ন জোড়া দেখেছি।
মাটি যেমন আকাশকে,
মেঘ যেমন পাহাড়কে,
ঐদূর থেকে ভালোবেসে।
আমিও তেমনি ভালোবেসেছি।
ইশ্! যাচ্ছো কোথায়?
বলি, এতো তারা কিসের তোমাদের?
আগে পুরো কথাটা তো শুনে নাও।
তাঁকে গিয়ে বলবে,
হয়তো রাজপ্রাসাদ নয়,
কিন্তু ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর গড়েছি,
তাতে বিশ্বাসের খুটিতে,
ভালোবাসার ছাউনি দিয়েছি।
দখিনের জানালার ধারে,
বেলী ফুলের একটা গাছ বুনেছি,
চাঁদনি রাত, দখিনা বাতাস,
সেই ফুলের সুবাস নিয়ে ঘরে আসবে
তাকে নিয়ে গল্পের আসর বসবে,
এমন কত শত যে স্বপ্ন দেখেছি।
একি তোমরা চলে যাচ্ছো,
আচ্ছা যাও তবে,
ব্যাথিত প্রাণের ঔষধি তোমরা,
আরো হলে একাকিত্বের দোসর।
বন্ধুর কাছে পৌঁছে দিয়ো আমার এই খবর।
বন্ধুকে গিয়ে বলবে,
রাতের পর দিন আসে,
আসে মাসের পর মাস,
তার দেখা কেনো পাইনা।
আচ্ছা বন্ধুর দেশে কি বসন্ত আসেনা,
ভালোবাসার ফাগুনে হৃদয় কি রাঙ্গেনা?
তাঁরই প্রতিক্ষায় তাঁকিয়ে থেকে,
আজ চুক্ষু ছলছল।
সে কি কখনো আসবেনা মুছাতে,
আমার আঁখি জল।
নাকি সারা জনম,
প্রতিক্ষা থাকবে অবিচল....।