তুমি চইল্যা যাওয়ার পর থেইক্যা,
বড্ড বেশি বেহায়া হইয়া গেছি,
সরম, লজ্জা, হায়া সব যেন শিঁকাই উঠছে।
দিন নাই রাত নাই, মন খালি চায়,
তোমার লগে কথা কইতে।
আচ্ছা তুমিই কও?
মন চাইলেই কি,
তোমার লগে কথা কওন সম্ভব?
বোকা মন কিচ্ছুই বোঝে না,
এক্যেবারে পোলাপাইনের মতো,
যহন তহন আবদার কইরা বসে।
বোঝেনা যে, সাত সাগর আর তেরো নদী,
পারি দেওন হয়তো সম্ভব হইবার পারে।
কিন্তু তোমার কাছে যাওন আর সম্ভব না।
কইয়্যা বইল্যা যদি,
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধডা লাইগ্যাই যায়,
হেইডাও হয়তো জিতা সম্ভব হইবার পারে।
কিন্তু তোমারে জয় করা কখনো সম্ভব না।
তুমি এহন রাজ রাণী,
রাজ প্রাসাদের লাহান,
বড় দালানকোঠায় থাকো।
চাঁন্দের মতন সুন্দর মুখটারে,
অন্য মানুষের বুকের মধ্যে
পরম শান্তিতে লুকাইয়া রাখো।
আর ভাঙা ঘরে থাইক্যা,
মন সেই চাঁন্দেরে ছুঁইতে চায়।
তুমিই কও? বেহায়া না হইলে কি,
এমনডা চাওন সম্ভব।
তোমার আমাবশ্যার রাইতের লাহান,
গুটগুট্টা কালা চুল গুলান দিয়া,
যে ফুলের ঘেরান বাইর হয়।
সেই ঘেরান বুক ভইরা নিয়া,
মন মাতাল হইবার চায়।
তুমি হয়তো ভাবতাছো,
এমন পাগল কি মানুষ হয়।
কি আর কমু কও?
তুমি চইল্যা যাওয়ার পর থেইক্যা,
আসলেই পাগল হইয়া গেছি।
এই তো আর কয়টা দিন,
কয় বছরই আর বাঁচমু কও?
ষাট বছরের হায়াত থাকলে,
আর না হয় তিরিশ-পাঁইতিরিশই।
এই পারে না হয়, নাই পাইলাম,
তুমি কি ভাবছো?
ঐপারেও তাই আমি তোমারে ছাড়মু,
ঐপারে আমি খোদার কাছে,
আর কিচ্ছু না খালি তোমারেই চামু।
কয়ডা দিনের-ই তো কথা
শালার অবুঝ মনের আর তর সয়না।
হাইসো-না... হাইসো-না.......
আসলেই বড্ড বেশি অধৈর্য্য হইয়া গেছি।
তুমি চইল্যা যাওয়ার পর থেইক্যা,
তোমার খেয়ালেই খালি ডুইব্বা আছি।
আসলেই কেমন জানি,
জীবন থাকতেও মরা হইয়্যা গেছি।