প্রিয়,
বছরের শুরুতেই তোমার ঐ নিপুণ হাতের একখানি পত্র দিও_
কালবৈশাখী ঝড়ের রাতে একাকী খুব ভয় পেলে, পত্র দিও!
জৈষ্ঠ্যের পাকা আম-কাঁঠালের ছুটিতে বাড়ি এলে খবর দিও!
আষাঢ়ে ভোরে যদি ঘুম ভেঙ্গে হঠাৎ-ই মন খারাপ হয় পত্র দিও,
শ্রাবণের সন্ধ্যায় যদি আমায় খানিক অনুভব করো, পত্র দিও!

শরতের শুরুতেও তোমার ঐ নিপুণ হাতের একখানি পত্র দিও_
ভাদ্রের ভরা যৌবনে নদীর তীরে কাশফুল ফোটলে পত্র দিও
আশ্বিনের শীতল হাওয়া আর শিউলি ঘ্রাণ পেলে-ই, পত্র দিও!
কার্তিকে গাছিরা খেজুর গাছে  রসের হাঁড়ি পাতলে পত্র দিও,
অগ্রহায়ণের ধান ঢেঁকিতে পাড় দেয়া শুরু হলে-ই নিমন্ত্রণ দিও!

প্রিয়, শীতের শুরুতেও কোমল ঐ হাতের একখান পত্র দিও!
পৌষের শিশির বিন্দু ঘাসের উপর টলমল করলেই পত্র দিও
মাঘের হাড়কাঁপা শীতে স্নিগ্ধ ঐ শ্যাম গায়ের চাদর করে নিও!
ফাগুনের হাওয়া পেলে পত্রের খামে কিছু রাঙ্গা শিমুলও  দিও।
চৈত্রের দাবদাহে ঘাম নিধনের তরে হাতে বুনা রুমাল পাঠিও!

প্রিয়, ঠিক এভাবেই বৈশাখ হতে চৈত্র পুরো বছর পত্র দিও_
বারো মাস না পারো, অন্তত ছয় ঋতুতে ছয়খানা পত্র দিও!
ছোট্ট একটা নীল খামে হলুদ কাগজের পত্র দিও,
প্রিয়, পত্র দিও!

__ আরিফ আহমেদ

                                ২৬ ভাদ্র, ১৪৩০
                                    -রবিবার-
                           ভোর রাত: ৪:০৭ মিনিট
                               __আশুলিয়া__