যদি ফিরে এসো কোনোদিন কোন ক্ষণে কোনো এক বসন্ত বিকেলে
দেখবে, দুঃখের চাদর জড়িয়ে দুয়ারে দাঁড়িয়ে হাজার বসন্ত ধরে
তোমার ফেরার অপেক্ষায়!
দেখবে, তোমার প্রিয় বেলি ফুলের মালা গেঁথে গেঁথে ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছি
আমার ভাঙ্গা খড়ের ঘরের কোণায় কোণায়।
সেই মালা শুকিয়ে মিশে গেছে খড়ের সাথে,
মিশে গেছে তোমার রেখে যাওয়া কিছু মলিন অমলিন স্মৃতির সাথে।

যদি ফিরে এসো কোনোদিন কোনো ক্ষণে কদম ফোঁটা কোনো এক বর্ষার সন্ধ্যায়
দেখবে, তুমি না থাকার অভাবে অযত্নে অবহেলায়,
ঠিক কতটা আকাশ ফাটা বৃষ্টি ঝরে আমার আকাশে
কতটা কষ্টের দীর্ঘশ্বাস মিশে আছে বাতাসে!

যদি ফিরে এসো কোনোদিন কোনো ক্ষণে কোনো এক কার্তিকের জ্যোৎস্না রাতে
দেখবে, পূর্ণিমায় চাঁদের ভরা যৌবন দেখে দেখে গোটা রাত পার করে দেয়া মানুষটা
জীবনের সব আলো ভুলে সমস্ত জ্যোৎস্না পর করে
সব বাতি নিভিয়ে একাকী ঠায় বসে আছে শূন্য এই ঘরে!

যদি ফিরে এসো কোনোদিন কোনো ক্ষণে কোনো এক পৌষের কুয়াশামাখা ভোরে
দেখবে, আর সবাই যখন একটুখানি উষ্ণ রোদের অপেক্ষায়,
বাড়ির দরজায় সুপারি গাছের ঐ মাচায় বসে এক বুক আশা নিয়ে-
অশ্রু জলে তাকিয়ে আছি তোমার ফেরার রাস্তায়!


জানি ফিরবে না কোনোদিন কোনো ক্ষণে কোনো বসন্ত, বর্ষা কিংবা কার্তিকের জ্যোৎস্নায়, পৌষের কুয়াশায়।
তবুও দিন রাত এক করে সব ঋতু পার করে বেলি ফুলের মালা গেঁথে
আমার এ ভাঙ্গা ঘরে ভাঙ্গা বুকে মিছে আলো জ্বালিয়ে অপেক্ষায় থাকি রোজ,
কত শহর কত গ্রাম কত বসন্ত ধরে খুঁজে মরেছি তোমায়, তুমি তো নিখোঁজ!


২৮ শ্রাবণ, ১৪৩০ বাং
  ১২ আগষ্ট, ২০২৩ ইং
     রোজ শনিবার
    ০৪:২৫ মিনিট-ভোররাত
       (আশুলিয়া)