রাত্তির শেষ বিকেলে বিষ্টি নেমে এলে
রজনীর আচলে মেতে উঠে স্মৃতিপট
খোলা জানালায় জীর্ণ রোমন্থন মেখে
পশ্চিম আকাশে বহে নিউরণের গুঞ্জন
সময়কে তড়ি করে নিদ্রালুপ্ত হয় অক্ষি
সমস্ত বিস্মৃতিতে ভর করে অতীতগাঁথা
ভেঙে যাওয়া দখিণমুখী ডিঙির মাছায়
থরেথরে বিন্যাস্ত হয় আমাদের সর্বমুখ
তবুও প্রগৈতিহাসিক রাত কভু ফুরায়না
অফুরান অতৃপ্তির নিগূঢ় ধ্যানমগ্নতায়
রঞ্জিত আকাশিনীর চোখদ্বয়ে এঁকে যায়
বিচ্ছেদ সর্বস্ব আমার টকটকে ব্যবচ্ছেদ
এখানে আজ দীর্ঘতর কালপুরুষ আমি
যেনো ধরিত্রীর অপরিসীম মাটির সুহৃদ
যে মাটি ঝরে পড়ে সভ্যতার প্রাচীনতায়
আর নির্নিমেষ মুছে যায় অনন্ত অন্তিমে
প্রিয় কৃষ্ণকায় জননীর অতল রাত্রিকাল
ফুটে উঠেছে সুবহে সাদিকের পুষ্পাধার
এবার তবে জীবনধ্বনি হোক প্রভাতফেরি
উল্লাসিত চিত্ত হোক জাগরণের মহাকাল
২২০৫০৬৩৫০৪