সমস্ত রাত্তির ভেতরে আন্দালিব মুগ্ধতা
শিরস্ত্রাণে উড়ছে সমস্ত অযত্নের পায়রা
সভ্যতা ফুঁড়ে উঠে চলা দেয়ালিক বুকে
লেপ্টে যাচ্ছে প্রাচীণ পরিচিত রাতেরা
আমাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে তুমুল ডাকছে
আশাহত সুনীল রাত্তির শেষভাগটুক
আমি প্রতীচী জানালার চৌকাঠ এঁকে
বিরাণ শূণ্য হৃদয়ে লিখছি প্রত্যাখ্যান
ভোরাক্রান্ত ডাহুকের ব্যকুল কণ্ঠে শোক
মথিত করছে নিশির প্রচ্ছন্ন রাজপথ
শিশিরে নিষিক্ত ধবধবে শাদাময় শীত
গেরদান দিচ্ছে সহস্র বর্ষের স্মৃতিস্বর
যে ধুসর স্মৃতিরা মলিন করছে এই রাত
তারাই ডঙ্কা বাজিয়ে নামাচ্ছে আসমান
দুর্বোধ্য অটল হিমালয় কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে
বরফকুচি করছে শেষরাত্তির জ্যোৎস্নাদল
নিদ্রাহত এসব রাত সমগ্র স্তব্ধ কঠিনতর
অভূতপূর্ব মোহনায় নিয়ে যাচ্ছে বেমালুম
অথচ আমার জন্মই হয়েছিলো সন্ধ্যালগ্নে
ধূসর বিবর্ণ ছাইরঙ আসমানের তলদেশে
হেমন্তকাল, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
২২১১২৬০০০৪