এখন অনেক রাত নেই; নেই অশেষ আঁধার।
বাহিরে ঝুল বারান্দার ঠান্ডা লন্ঠনে মিশে যাচ্ছে—
স্বর্গীয় জ্যোৎস্নার নীলাভ বলয়।
হিম-শীতল বেদনার কারাগারে বাড়ছে প্রত্যুষ।
চুপ করে হুটহাট রাতগুলো ভেবে বসে; কার বুকে যাবো,
অবিশ্রান্ত বেদনালয়ে নিদ্রান্বিত মনের কার্নিশে—
নিশ্চল নিশ্চিন্তে নিশ্চুপ আশ্রিতা হয় যত রাত নির্জন।
দুঃখবোধের আন্তঃনগরে হুইসেল বাজে বিরহের,
অথচ তার মাঝে ছিলোনা কোন পথিকের আনাগোনা।
এখনতো অত রাত নেই; নেই তিমির বিদারী কৃষ্ণকায়—
অন্তর্যামী এখন তবু দেখুক- জ্যোৎস্নালোকের নীরব
আত্মাহুতি।
অদ্ভুত জীবনজোড়ায় এই নির্বাক দূরত্বকে পুঁজি করে ,
প্রত্যুষ জেগে উঠছে ঘন রাত্তির নিকষ বিদীর্ণ করে।
দুরন্ত এই মানবজনমে কী তবে শুধুই বহে যাওয়া—
কোথাও কী কোনদিন কারও কাছে যাওয়ার নাই।
২১০৮২২২০০২