তুমি এভাবেই ভেঙে দিলে নিরংকুশ
আমি হই শ্রান্ত পথের ক্লান্ত পথিক —
যেনো অর্ধমৃত মশালের ভঙ্গুর কয়লা
অবেলায় গেয়ে যাই আঁধারের খোয়াব —
তুমি আগুনের পথে পথে রোপে দিলে
অজস্র বিরহের দগদগে সিংহ-বিষাদ —
যেনো বিতৃষ্ণ আমি নিদারুণ প্রলয়ে
খন্ডে বিখন্ডে ছত্রভঙ্গ সীমাহীন নিখোঁজ —
তুমি তোমার তুমিত্বে বড় অপরিচিতা
সুকঠিন প্রশ্নে ঠাই নির্দয় প্রাচীন পাথর —
যেনো সহস্র শতাব্দী বুকে পোষে নিদারুণ
বয়ে চলেছো অমিমাংসার তীব্র গণস্রোত —
আমিত্বে আমি আমায় গড়েছি অদ্ভুত
কী নিকষ গিলছি যাতনা গোগ্রাসে —
যেনো অবিশ্রান্ত এক যাযাবর নাবিক
ছুটে চলেছে কোন বেদনার অন্ধঘাটে —
অথচ স্বপোনের শয়শয় অজস্র রাত্তিতে
আমাদের কথা ছিলো তাকানো আলাপন —
কথা ছিলো জ্যোৎস্নার মিঠানি আলোস্বাদ
ঝমঝম বর্ষার রাগিণীতে বেমালুম হারানোর —
২০০৯০২৪০০১