অনাবিল স্বপোনের মাস্তুলে উড়ে আসছে
সহস্র জীবনের প্রতীক্ষিত একান্ত প্রত্যাশা।
আমি অজস্র জীবন গুনে- গুনে নির্বিকার
নির্দ্দায় নিদারুণ লিখেছি যাপনের বেদনা।

সেই কবেকায় এঁকেছিলাম অপরাহ্নের বুকে
জোড়া ঠোঁট কলমিলতা হাত; কোমল চোখ।
সে সুদূর বর্ষাস্নাত দিনের বাহুডোরে ছুঁয়েছি
সব অনুরাগ সদ্য বেড়ে উঠা বিমল আলো।

সুবিমল অধরের আলোয় কত রাত্তি এসেছে
পূর্ণিমার নীলাভ দাবানলে মেলেছে পেখম।
কিন্তু অতীত পোড়া ক্ষণের ভস্মস্বার ফিরেনি
খুব ভোরলয়ে পড়েনি কড়া কলমিলতা হাত।

অথচ কতোবার চেয়েছি আকাশে হয়ে যেতে
চেয়েছি উল্কার বিবর্ণ মেঘের পিদিম আলো।
জ্যোৎস্নার মত গাঢ় নীলের আবর্তে মুড়েছি
সহস্র খোয়াবে বুনা অদ্ভুত কাজল অক্ষিদ্বয়।

আমি বিদায়ের শিঙ্গায় মৃত্যুর পয়গাম লিখি
ঘুণধরা চাপা শাস্ত্রে তুলে রাখি শ্বাস-প্রশ্বাস।
সমস্ত স্বপোনের টুঁটিতে ছুড়ে দিই জীর্ণ চেতনা
ধরিত্রী চোখ রাঙালে খুলে দিই জীবনের গ্রন্থ।



২১০৫২৭১৬০১