গভীর রাতের অঞ্চলে নক্ষত্রের জীবন
কেমন বিষণ্ণ ঝিঁঝিঁদের প্রহর পাহারায়
অসংখ্য রাত্তির ডাহুকে নৈঃশব্দ ঝিম
দেয়ালিক কাঁটাতারে ঘড়ির মিথস্ক্রিয়া
আমি কান পেতে রাত্তির কৃষ্ণ গহ্বরে
বহু অরণ্য শুনেছি ঝরে গেছে পাতায়
অনাবিল শূণ্যতার মরুদ্যানে নিঃসীম
অনাদরের বাহুডোরে বাড়ছে হাহাকার
বৃহস্পতির কোন রাতে সুবহে সাদিক
ভোর দোদুল্যমান প্রভাতের কৌণিকে
তখন ভীষোণ আক্ষেপে বেদনার সুর
মেঘের পিদিমে জ্বলছে ঈশানী লণ্ঠন
মহাকালের ধমনী শিরায় উপশিরায়
ভীত সন্ত্রস্ত মহাজনমের কবিতাপাঠ
আসমানি তারাপুঞ্জির নিখাদ সমস্বর
যেনও থরথর করে ভাংছে উল্কাপিণ্ড
হৃৎপিন্ড ডুবে যাচ্ছে আকাশের বুকে
আমার জন্মান্তরের বহুল দুটো চোখ
নক্ষত্রের ধারালো দ্যুতিতে উদ্ভাসিত
মৃত্যুশোক যেনো টকটকে বেনারসি
আমি অরণ্য হতে সরিয়ে ফেলি কান
ভেঙ্গে দিই ঝিঁঝিঁদের প্রহরের পাহারা
নিভিয়ে আসি সদ্য জ্বলে উঠা লণ্ঠন
টুঁটি চেপে মুছে ফেলি ধমনীর কবিতা
তবু আমি চিনিনি কী নির্বাক ব্যাকুল
জীবনের অনাদর; জন্মের ধাঁধাপথ
২১০৭৩০০৪