অতটাই বনবাসী হবো; চির উন্মাদের মতো,
যতটা তুমি হুরহুর উড়ছো বিহঙ্গ হয়ে।

তোমার বাহুডোরে অঙ্কুরিত মহীরূহের ছায়ায়,
ঠায় সুশীতল হয়ে জিরোবো অনাবৃত হৃদয়ে।

তারপর অ্যাবাকাসে হিসেব কষে জুড়ে দিবো,
আমার একাধিক জন্মের দগদগে নির্বাসনের যাপনচিত্র।

যখন মৃত-সভ্যতার বুকে লিখবো যাযাবরতার উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা,
তখন উদভ্রান্ত তুমি হারাবে নিকৃষ্ট তোমার ডানাযুগল।

জেনে রাখো!
এ বিজন তৃণভূমি একদা হয়ে উঠবে বিরান মরুচর,
আমার তীব্রতর যন্ত্রণার নিকষ হাহাকার পুষে পুষে।

এবং সময়ের শপথ রচিত করে বিবর্তনের পথে পথে,
আমি নিরংকুশ হয়ে যাবো তেজস্বী এক দৃপ্ত অশ্বারোহী।

সেই শোধিত কালের প্রতীক্ষা জপে আমি,
এখনও সকাল জাগাই মলিন চোখের প্রান্তরে।

প্রিয় মধুমতি,
আমাতে ভীষণ এক সংকল্প জানো?
যবে প্রত্যাশাপ্রাঞ্জল সেকাল নেমে বসবে,
সুশোভিত সময়ের উচ্ছ্বাসিত তটে।
তখন তোমার অঙ্গরূহের শাখায় ডগায়,
খুব আপোনায় মিশাবো অনবরত ঝাঁক ঝাঁক কবুতর।

আর আমি শান্তির কোরাস ঠোঁটে তোমায় করে যাবো,
প্রলম্বিত চুম্বনের নিষ্কলুষ গেরদান।

মধুমতি-
আমি করবোই এ সংকল্প তোমাতে…


2017.Aug.04_01 রজনী।
থানার মোড়, পটিয়া, চট্টগ্রাম।