আমার সাম্প্রতিক সমস্ততায় — বিচ্ছেদ; বিচ্ছেদ আর
বিচ্ছেদ। জ্বরাক্রান্ত রাত পোহানে শেষে— ভোর নেমে এলে
মুমূর্ষু কপালে; আমি শুয়ে পড়ি মায়ের অতীত কোলে। মা
হাত বুলিয়ে চুমু খান গালে — ঠোঁটের কোণে জমে থাকা
জ্বরে। পরক্ষণে নরম চোখে জিজ্ঞেসান—তোর চোখে এত
এত অবিশ্বস্ত কালিমা কিসে? আমি বাহুডোর খুলে স্মিত
হাসি; মায়ের হাত টেনে এনে বুকে আলতো চাপড়ে বলি—
সন্তানদের যে কোন বেদনাই; মায়েদের হৃদয়ে প্রবঞ্চক ও
প্রতারক বটে। মা; গুনগুনিয়ে তিলাওয়াত করেন— সুরা-ই
ইখলাসের নির্যাস মেখে দেন আমার নতমুখে। আমি
টলমলে আড় চোখে তাকাই— মা; সুরা- ফ্বালাক্ব ও আন-
নাসের শরাবে ডুবে, বিড়বিড় করে দরাস দেন। মায়ের
নরম হাতের জলপট্টি যেনোও আরও নরম কোন রেশমের
ভাঁজ—পট্টি কপালে বিছাতেই মনে হয়, উড়ে যাচ্ছে রহমতের
সদ্য উড়তে জানা কোন চড়ুই; শরীরের অতলান্তের গহ্বরে।
অসাড়তা ভাঙয়ে মা'য়ের— কিঞ্চিৎ বিরক্তি সুরে তাশরীফ
আনেন; নিজের যত্ন ও খেয়ালের অধ্যায়ে। আমি চোখ বুজে
গ্রহন করি পয়গাম — গেঁথে নিই পরম স্নেহ।
২৩০৭২৩০৫০৭