আমি ফিরে যাচ্ছি অজস্র বনের ভেতরে
ভীষণ রাত্তি জমে আঁধার জন্মায় যেখানে।
আমার পূর্বপুরুষগণ রাখেনি আলামত
বেদনা শেষে পুনরুত্থানের কোন নিশানা।
অন্ধের ভেতরে আচানক আলো নেমে এলে
বর্ধিত অসংকোচ ভয়েরা দিশারি হয়ে উঠে।
জিয়ানো আকাঙ্ক্ষার তুমুল হাওয়াই বিষাদ
আমার তবু থামা হয়নি ফেরার যাত্রাপালা।
আমি ফিরে যাচ্ছি নতুন বিরহের হিমাগারে
অস্পর্শ অগণন খোয়াবের ঝুম মিথস্ক্রিয়ায়।
অবোধ্য দামামার প্রাচীন সুরের মূর্ছনা-তালে
প্রারম্ভের আগেই অন্তমিল লিখে ফেলা জীবন।
ঐতিহাসিক শেষ রাত্তির ডাহুক ডঙ্কা বাজায়
ছাইরঙা ভোর নেমে এলে তলিয়ে যাই আরও।
অজস্র বনের পরে অদ্ভুত রাত্তির আস্তাকুঁড়ে
আমি চোখ মেলে হয়ে উঠি আসহাবে-কাহাফ।
কোনও ডিসেম্বারের আনকোরা রাতের গহীনে
আমি অবিরাম ছুটে যাচ্ছি তপ্ত নির্জনতায়।
ভীষণ তছনছ হওয়া দৃষ্টির কিনারায় জ্বলছে
আশাহত ডাহুকের অঢেল মৃত্যুর আলিঙ্গন।
শীতকাল, ১৬ই পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
২২১২৩১০৪৪৫