বালক : কি করো ?
বালিকা : ঘুমায় !! শুভ রাত্রি !!
বালক : শুভ রাত্রি !
বালক : শুভ সকাল !! কি করো ?
বালিকা : ঘুম থেকে ওঠলাম !! অফিসে যাব ! রেডি হই ! বাই !!
বালক : আমি অফিসে যাচ্ছি !
বালিকা : হুম ! অফিসে যাচ্ছ , যাও !
বালক : লাঞ্চ করছো ? কি খায়ছো ?
বালক : অফিস শেষ ! বাসায় যায় !
বালিকা : যাও ! এই হল তোমার রুটিন !!
বালক: কি করো সোনা ! কি আর করব, কাজ করছি !!
অনেক কাজ ।
এই তোমার কোন কাজ নেই নেই ? তুমি অফিসে কর কি?
বালক: থাকবে না কেন ! আছে তো অনেক কাজ !
বালিকা : তো কাজ কর !
বালিকা : কাজই তো করছি ....... সব কাজের গভীরে তোমার কাজটাই প্রথম কাজ ! তোমার টা মুখ্য বাকিগুলো গৌণ ! তোমার সাথে কথা বলা এটাই আসল ও প্রিয় কাজ !!
তোমার চেয়ে বড় কোন কাজ নেই ! থাকতে পারে না !
বালিকা : হয়েছো আর আর কাব্য করতে হবে না !
পাগল !!
আমার অনেক কাজ .... রাখছি !!
বালক : হ্যালো !!
বালিকা : আবার কি হল ? পাগলের মত করছো কেন ? আমি খুব ব্যস্ত !! অনেক কাজ !
বালক : বিরক্ত হচ্ছো ! আচ্ছা আর বিরক্ত করব না ! শুধু একটা কাজ করতে পারবে ?
বালিকা : আবার কি কাজ ! বল ..
বালক : লাইন কেটো না !
বালিকা : কথা বলতে পারব না !বলছি না !!
বালক : কথা বলতে হবে না ! শুধু লাইনে থাকো, লাইন কেটো না । কথা বলতে হবে না।
বালিকা : কি শুরু করলা আজকাল ! কেন বলো ?
বালক : আমি তোমার নড়াচড়া ,চলাফেরা , তোমার টাইপ করার শব্দ শুনতে চাই । তোমার কলমের লিখার শব্দ , হাতের স্পর্শ অনুভব করতে চাই । তোমার চায়ের কাপের , তোমার মুখ থেকে নিঃসৃত প্রতিটি শব্দ শুনতে চাই !
তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে চাই । তোমার প্রতিটি অনুভূতি অনুভব করতে চাই ।
বালিকা : ঢং !! রঙ দেখে বাঁচি না ! পাগলের মত প্রলাপ করো না । দিন দিন তোমার চাওয়া বেড়েই যাচ্ছে । এত আহ্লাদ আর ভালো লাগে না ............................ রাখ । ।
বালক এখন আর রুটিন মেনে চলে না। শুভ সকাল , রাত্রি বলে না । আর পাগলের মত করে না , এখন আর কোন আহ্লাদ করে না । বালক আর পাগলামী করে না । বালক এখন সুস্থ তাই আর পাগলামী করে না ।
বালিকার আকাশে মেঘ জমেছে , এখন বালক কারণে অকারণে মনে করে না । বালক মন দিয়ে অফিস করে , অবসর মিলে না ।
অবসর সে তো কষ্ট লিখার তরে ।
এখন সবচেয়ে কষ্টের গান লিখার সময় !!