শুক্রকীটের প্রতিযোগিতায় তুমি আজ জয়ী।
তোমাকে দিয়েই শুরু হলো নতুন একটা প্রাণ।
আপনজনরা খুশিতে মিষ্টি বিলাচ্ছে জনে জনে।
যখন জানতে পারলো তুমিও শুক্রকীটের ধারক।
সবাই খুশিতে আত্মহারা।
কারন তাদের সংসারে আসছে আগামীর প্রদীপ।
যে উজ্জ্বল করবে পরিবারের নাম দেশ বিদেশ।
সবাই দিন গোনে আর কতদিন বাকি।
আর তুমি জরায়ুতে থেকে পৃথিবীর আলোতে আসার অপেক্ষায়।
দিন, মাস যেতে যেতে এক ভরা পূর্ণিমায় তুমি আসলে ধরাতে।
সবাই তোমার সেবাতে মগ্ন।
যেন কিছুতে না পাও তুমি কোন বেদনা।
দিন যাচ্ছে, মাস যাচ্ছে আর যাচ্ছে বছর।
সেই সাথে তোমার দেহের প্রতিটি অঙ্গ পরিপক্ক হচ্ছে।
তুমি সব কিছু বুঝতে শিখছো।
নিজের আবেগ প্রকাশ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে শিখছো।
অপরাধ করে লুকাতে শিখেগেছ।
যদিওবা ধরাপড় তো কিভাবে সাফাই দিতে হয় তাও খুব ভালোভাবে শিখেগেছ।
শরীরে টেস্টোস্টেরন বাড়ার সাথে সাথে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে তোমার।
সাথে আবার শুক্রকীটের অস্থির নৃত্যের কারনে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি বেড়েছে তোমার লোভ।
অবিরাম এই শুক্র নৃত্য তোমাকে পাগল করছে।
শুক্র নৃত্যের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে
ভুলে গেলে তুমিও মানুষ।
মানুষ তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
টেস্টোস্টেরনের বাড়তি মাত্রা তোমাকে উন্মাদ করছে।
নিষিদ্ধ কামনাও তাই আজ তোমার কাছে বৈধ মনে হয়।
তুমি কি জানো পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থায়ী নয়।