পৃথিবীর সব অলিগলিতে বিধ্বস্ত মন নিয়ে আমি গন্তব্যবিহীন ভাবে হাঁটছি।
এই ভেবে যে আচমকা কোন এক গলি থেকে তুমি বের হয়ে এসে বলবে - এইতো আমি!
আরো বলবে - তুমি একটু শান্ত হও।
আমি আর কোথাও যাব না।
কিন্তু এমনটা কখনও হয়নি।
এলোপাথাড়ি হেঁটে হেঁটে প্রতিটা অস্থি সন্ধিতে ধরেছে অসহনীয় শূল।
দৃষ্টি শক্তি ঠিক থাকলেও অপার ক্লান্তি হেতু দুরের অনেক কিছুই এখন আর দৃষ্টি ঘোচর হচ্ছে না।
গতরের শক্তি একেবারেই প্রান্তবিন্দুতে এসে ঠেকেছে।
কখন যে তন্দ্রা আমাকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এক বিন্দুও খবর নেই আমার।
হঠাৎ দেখি আমি শুয়ে আছি মৃত সাগরের সৈকতে।
দূরে দেখা যাচ্ছে কেউ একজন আমার দিকে আসছে।
কে তা ঠাওর কারার কোন উপক্রম নাই কারন এত আলো আর তার উপর বালুগুলো চিকচিক করছে।
তবে অবয়ব দেখে মনে হচ্ছে এক অপূর্ব রমনী।
যত কাছে আসছে তত চেহারা উন্মুক্ত হচ্ছে আর নিজের ভিতরে উত্তেজনা ঘন হচ্ছে।
কারন এতদিন ধরে যার জন্যে এত কাঠ খড় পোড়ানো সে নিজেই আমার কাছে এসে হাজির।
আমি হতবাক, নিশ্চুপ তাকে দেখে, মনে হয় তার এই রূপ আমি কখনও দেখিনি।
তাকে দেখে আমি সম্মোহিত।
আর অনেক দিন পর আমাকে দেখে সে শুধু বলছে, বলছে বলেই যাচ্ছে।
কতটুকু সময় যে গেলে বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই।
আর খেয়াল রেখেই বা কি লাভ??
যার জন্যে আমার জীবনটা সেতো আমার সম্মুখে।
সময়ের জটিল সমীকরণ করে সময় নষ্ট করতে চাই না।
সে তখনও বলছে। আমার তখনও একটুও মোহ কাটেনি।
যখন তুমি দক্ষিণ বাহুতে কম্পন ধরালে তখনই যেন সব স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।
তোমার কথা শুনে আমি আরও অবাক।
আমার জন্যে শত সহস্য বছর ধরে অপেক্ষায় তুমি পড়ে ছিলে এই সৈকতে।
তোমার বিশ্বাস ছিলো আমি আসবে।
হয়তো তোমার বিশ্বাস আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।
আর আমি কত কত অজানায় খুঁজেছি তোমায়।
হঠাৎই তুমি জড়িয়ে ধরলে আমাকে।
কি পবিত্র অনুভূতি, অদ্ভূত ভালো লাগা কাজ করছে মনে।
এভাবে কত সময় পার হলো তার কোন প্রকৃত হিসেব নেই।
যখন চোখ মেললাম আমি আবারও অবাক।
দেখি আমি যেখানে ছিলাম এখনও সেখানেই।
আমি অস্থির হয়ে গেলাম। এতটুকু শান্তি নেই চিত্তে।
তাহলে তাহলে কি আমি যা দেখলাম সবই আমার ভ্রম।
সবই মিথ্যে......