ও নীল দরিয়ার মাঝি!
ও... নীল দরিয়ার মাঝি!
মাঝি একটু যাও...না শুনে।
যাওনা শুনে ;
তোমায় আমি খুঁজি
অন্তঃচক্ষু রেখে;
এপার থেকে ওপার পানে।
প্রাণের আবেশে কত সাজ সাজি;
পড়েনা নাকি চোখের কোনে?
আমার ঘাটে একটু রাখোনা,
তোমারি দরিয়ার সাথি
বয়ে চলা ঐ নৌকাখানা।
তুমি কি মাঝি যাবে নিয়ে আমায়?
সেই গায়ে দিবে হানা।
কালো কালো দুঃখগুলো
যেখানে আমায়
কখনও আর খুঁজে পাবেনা।
ক্লান্ত কোকিল শোন মাঝি আমি
গাছে গাছে শুধু থাকি।
অনেক দুঃখ জমা করেছি;
এখন কোথায় রাখি!
বল...না;
তোমার ঐ নায়ে মাঝি
একটু আমায় নেবে নাকি।
ও মাঝি শোননা,
শোননা মাঝি।
সবুজ শ্যামল গায়ে আমি
জুড়াবো আমারি আঁখি।
সেখানে গিয়ে কোকিল আমি
হয়ে যাব এক কবি।
সবুজ ঘাসের উপড়ে আমি
আঁকবো সুখের ছবি।
মাঝি! আমায় নিয়ে যাবে কি?
সেই কখন থেকে বলি।
চলনা মাঝি গান শোনাবো
গানে গানে যাব চলি।
সে গায়ে আমি মধুর সুরে
বাতাসে ছড়াবো বাঁশি।
গাছের পাতারা নাচবে শুধুই
ভুবনে ছড়াবে হাসি।
হয়ে যাবো আমি সুর-উদাসী
সুরেতে থাকবো বাঁচি।
যে সুরে আমার করবে শুধুই
আলো নিয়ে নাচানাচি।
ও নীল দরিয়া!
ও নীল দরিয়া!
একটু বলে দাওনা ঐ মাঝিকে।
সে যেন একটু যায় যেন নিয়া
সেই গায় মোরে আজিকে।
(২৯/০৩/১৩ অপরাহ্ণ)