(আজকের কবিতা একটু বড়।একটু না হয় বন্ধু তোমরা কষ্ট করেই পড়।)
জিন্স প্যান্ট আর টি-শার্ট পরে,
কালো চশমায় চোখ লুকিয়ে,
পৃথিবী ভরা গর্ব নিয়ে,
সিগারেট হাতে রাস্তায় দাড়ায়ে
দাদাবাবু সেই চশমাওয়ালা
ডাক দিল বলে রিকশাওয়ালা।
রিকশাওয়ালা বৃদ্ধ বয়সী;
আসলো কাছে মনে নিয়ে খুশি।
চশামাওয়ালা দাদাবাবুটা
টান দিল ঐ সিগারেটটা,
ধপাস করে চাপল রিক্সা।
গন্তব্য তার বলে দিল না ।
তুচ্ছ স্বরে বলল দাদা,
“যা ব্যাটা যা, জলদি চালা।’’
খুশি মনে বৃদ্ধ গেল চালিয়ে
পৌঁছে গেল রাস্তার মোড়ে।
গন্তব্য তার চাইলো এবারে।
বলে দিল দাদা ধমকের সুরে।
আবারো বৃদ্ধ গেল চালিয়ে
গা দিয়ে তার ঘাম ঝড়িয়ে।
পথ মাড়িয়ে চলে এলো সে
দুর পথে সেই ঠিকানা শেষে।
নামলো দাদা বীর দর্পে
কিছুটা কদম গেল এগিয়ে।
বৃদ্ধ তাকে বললো ডেকে,
“ভাড়া দিতে ভাই ভুলে গেলে যে”
হুংকার মেরে দাদা ভাই বলে,
“বলিস দিতে ভাড়া আমারে?”
বৃদ্ধ বলে ক্লান্ত স্বরে,
“না দিলে বল চলি কিভাবে?
থাকি যে বাবা খুব অভাবে।”
দাদা বলে আবার বাঘের স্বরে,
“বলিস দিতে ভাড়া আমারে?”
এই বলে সে বৃদ্ধের গালে
চড় লাগালো কথার তালে।
নির্বাক হয়ে বৃদ্ধ এবারে
এক দৃষ্টিতে থাকে তাকিয়ে।
নিষ্পাপ ঐ চক্ষু থেকে
পানি ঝরে পরে গড়িয়ে গড়িয়ে।
এবারে বৃদ্ধ গেল হারিয়ে
কিছু সময়ে ভাবনার কোলে।
অসহায় মনে ভাবে সে বসে,
“একি পরিহাস হে নিয়তি!
বয়সে যে হবে আমারি নাতি
তারি হাতে আমি খেলাম মার?
ভাঙল বিবেক,হল চুরমার।
বিবেকের গায়ে যে মারে তীর
সে কেমন বীর?সে কেমন বীর?
সে কেমন বীর?????